মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের পাকা কাঞ্চনপুর গ্রামে ৪.৫৭ শতক জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধিতা বিরাজমান করছে। সরেজমিনে মঙ্গলবার ২৮ জুন ২০২২ সালে দেখা যায়, ৫৬৩ নং দাগের ২২১ নং খতিয়ানের পশ্চিম অংশ পাকা রাস্তা লাগোয়া দখল জমি ৫০-৬০ বছর পূর্ব থেকে শরিকানা বন্টন সূত্রে অংশীদার মালিকানা জমি। মো. সোনাউল্ল্যা মন্ডল তার মৃত্যুর পর একমাত্র পুত্র মো. গোলাম আকবর মন্ডল ভোগদখল করে আসছে।
গোলাম আকবর মন্ডলের মৃত্যুর পর তার অংশীদার হয় গোলাম নবী (বাবু মন্ডল), আলম মন্ডল, খাজা মন্ডল, মৃত জাহাঙ্গীর মন্ডলের ওয়ারেশ সোহেল মন্ডল ও শাম্মি আক্তার বৃষ্টি এবং গোলাম আকবর মন্ডলের স্ত্রী ছাকিরন নেছা। বাদী আফজাল মন্ডল মাগুরা সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী ২৮৩/২০২২ সালের মার্চ মাসের ২৯ তারিখে জমিতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিবাদী গোলাম নবী (বাবু মন্ডল) এর বিরুদ্ধে ৪ শতাংশ জমি নিয়ে মামলা করে।
মহামান্য বিজ্ঞ মাগুরা সহকারী জজ আদালত দেওয়ানী ২৮৬/২১ নিষেধাজ্ঞার ২৮৩/২২ আদেশ বাদী পক্ষের বিপক্ষে যেয়ে বিবাদী বাবু মন্ডলের পক্ষে রায় হয়। মামলার কপিতে এখানে দেখা যায় ৪.৫৭ শতক বাদীপক্ষ উক্ত জমি ব্যতিত অন্য জমি দিয়ে চলাচল করে এবং স্থানীয় পর্যায়ে বাদীপক্ষ অত্যন্ত চতুর, ফাঁকিবাজ, দূর্দান্ত, পরসম্পদ লোভী শ্রেণির দাঙ্গাবাজ লোক। বিবাদী পক্ষ ৪.৫৭ শতাংশ জমিতে দোকানঘর তৈরির উদ্দেশ্য গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিগণদের উক্ত জমিতে উপস্থিত করে।
তখন বাদীপক্ষ আফজাল মন্ডল ও মোখলেজ মন্ডল ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশ নিয়ে এসে বাধা সৃষ্টি করে। এ সময় পুলিশের এস আই হিমাদ্রি বাবু এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে, বিষয়টি রাঘবদাইড় ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হারুন অবগত আছেন। এরপর বাদীপক্ষ ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে এসে বিবাদী পক্ষকে নানা ধরনের হয়রানি, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনমূলক আচরণ করাচ্ছে। এ জন্যই বিবাদী পক্ষের লোকজন জীবনের নিরাপত্তার প্রশাসনের সাহায্য সহযোগিতা ও সুদৃষ্টি কামনা করেন।
বাদী পক্ষের মোখলেজ মন্ডল এই প্রতিবেদককে বলেন, ৫৬২ ও ৫৬৩ দাগে সাড়ে ১৯ শতক জমি আছে, তার মধ্যে ৫৬২ দাগে ৪ শতক এবং ৫৬৩ দাগের খতিয়ান ১৩১ নং ১৬ শতক ও বাদ বাকি জমি আলমদের নামে (গোলাম আকবর মন্ডল) রেকর্ড ২২১ নং খতিয়ানে ৪.৫৭ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, ১৯৬২ সালে বাপ-দাদার আমলে ৫৬২ ছিলো একটা দাগ, এটা শরীকানা জমি পরে বিভক্ত হয়।
ফাইনাল রেকর্ড রেজিষ্ট্রি করেছি চলতি জুন মাসের ৭ তারিখে, আমরা দুই ভাই ২ দাগে সাড়ে ১৯ শতাংশ জমি ডাবলু, বাবলু, রাজ্জাক ও ফরিদার কাছ থেকে ক্রয় করেছি। ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে এসে বাবু মন্ডল ও আলম মন্ডলদের হুমকি প্রদানের কথা অস্বীকার করেন। এলাকাবাসীর গোপন সূত্রে জানা যায়, বাদী পক্ষের ছোট ভাই শহীদুল মন্ডল সব সময় উস্কানিমূলক কথা রটিয়ে বেড়ায় এবং তারা এখন বলে বেড়াচ্ছে মহামান্য মাগুরা আদালতের বিবাদী পক্ষের রায় ভুয়া ও মিথ্যা।