ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আধিপত্যকে বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু'গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কিছু সংখ্যক বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা গ্রহণ করে এবং গুরুত্বর আহতদের ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
রোববার সকালে চতুল ইউনিয়নের শুকদেবনগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুই সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ২৫টি বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শুকদেবনগর গ্রামের দেলোয়ার শরীফ সমর্থক ও একই গ্রামের নজরুল খাঁ সমর্থকদের পূর্ব শত্রুতা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সে জের ধরে গত শনিবার বিকেলে দেলোয়ার সমর্থক মো. আশরাফুল শেখকে নজরুল খানের সমর্থক মো. জাহাঙ্গীর শেখের ছেলে মো. ইরাদত শেখ পাশের আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিরগ্রাম বাজারে আসতে নিষেধ করে। পরে আশরাফুলের চাচাতো ভাই মো. আব্দুর রাজ্জাক শেখ শুনতে গেলে তাকে মারধর করে।
খবর পেয়ে শুকদেবনগর গ্রামে বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুর রহমান গিয়ে সাধারন মিটমাট করেন এবং কোন প্রকার সংঘর্ষ করবে মা মর্মে আশ্বস্ত করেন। রোববার সকালে ইরাদত শেখ আব্দুর রাজ্জাকদের বাড়ির সামনে এলে আশরাফুলের মা সাজেদা বেগম ও তাদের আত্মীয় স্বজনেরা তাকে মারধর করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুই সমর্থকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এতে করে ওই গ্রামে দেলোয়ার শরীফ সমর্থকদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে তাদের উপর হামলা চালিয়ে অন্তত ১৪জনকে আহত করে। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ৪জন কে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। বাকিদের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা প্রদান করা হয়। অপরদিকে নজরুল খান সমর্থকদের ইকবাল শেখ(৫০), রবিউল ইসলাম(৩৫), ফিরোজ শেখ(২৭) ফরিদ শেখ (৫৫) এর বাড়ি ঘর এবং ইউসুফ শেখের বাড়ি ঘর, টিভি, ফ্রিজ, ভাঙচুর করে তার স্ত্রীকে বেধরক মারপিট করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমার কোন লোকজন নেই, যারা আওয়ামী লীগ করে তারাই আমার লোক। আর ওই গ্রুপের লোকজন বিগত ৬ বছর ধরে আমার লোকজনদের মেরেছে। এখন এরা ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিহত করছে।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে বিল থেকে কাঁচামাল ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
দেলোয়ার শরীফ বলেন, শনিবার আমার দলের দুই জন লোক নজরুল খানদের দলে যোগ দেয়। পরে রোববার সকালে নজরুল সমর্থকরা আমার সমর্থকদের বাড়ি ঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
বোয়ালমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মাদ মামুনুর রশিদ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পরিবেশ শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ৬ টা পর্যন্ত এখনও কোন পক্ষ মামলা করেননি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha