মাগুরা সদর উপজেলার বেড় আকছি খুটিপাড়ায় গৃহ বধু ও তার না বালিকা মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ২ লক্ষ টাকায় দফারফার গোপন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া গৃহবধুকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে। আহত গৃহবধু মানছুরা খাতুন জানান, আমার দেবর ও ভাসুররা আমাদের ফ্যামেলির সাথে প্রায় সময় ষড়যন্ত্র করে।
গত এক সপ্তাহ পূর্বে মঙ্গলবার ১৪ জুন অনুমান রাত ৮ টার সময়ে তবিবুর বিশ্বাস (৪৫), নজরুল বিশ্বাস উভয় পিং- গহুর বিশ্বাস, সবুজ (২৮) পিং- বাদশাহ, সাং- ছনপুর এসে মানছুরা খাতুন (৪৫), স্বামী- মনিরুল ইসলাম মজনু, সাং- বেড় আকছি (খুটিপাড়া) বাড়ির গেটে মহব্বত হোসনে কে নাম ধরে ডাক দেয় যে গেট খোলেক।
এরপর মানছুরা খাতুন গেট খোলার সাথে সাথেই তারা সমস্ত ঘরের মধ্যে কোন পরপুরুষ আছে কি না খুজতে থাকে, এরপর বাড়ির ছাদের উপরও খোঁজ নেয়। মানছুরা খাতুনের মেয়ে মাইমুনা খাতুন (১৫) জানান, আমার আব্বু ঢাকায় চাকরি করে আমরা বাড়িতে ৩ জন থাকি, ঘটনার দিন আমার চাচারা ঘরে কাউকে না পেয়ে, আমাদের বাড়িতে একা পেয়ে আমার ও মা কে কু- প্রস্তাব দেয়।
মাইমুনা খাতুন আরও বলেন, ছনপুর গ্রামের সবুজ (২৮) কে আমার সাথে এবং তবিবুর রহমান মায়ের সাথে গোপন শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে এক বিছানায় শুতে প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাবে আমাদেরকে রাজি না করাতে পেরে কুরালের লাঠি ও টর্চলাইট দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। এলাকার গ্রাম্য ডাক্তার জাহাঙ্গির আলম বাড়িতে এসে চিকিৎসা করেন। আরেকটি গোপন সুত্রে জানা যায়, ওবায়দুর রহমান নামের গ্রামের এক যুবকের সাথে অবৈধ সম্পার্কের জেরে তবিবুর,নজরুল ও সবুজ পিটিয়েছে।
এদিকে নজরুল, তবিবুর ও ওবায়দুরের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেলে কথা বলে না। অপর একটি সুত্র জানায় এ বিষয়ে এলাকার মাতব্বরা উভয় পক্ষকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আপোষ মিমাংসা করেছে।
স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ভুক্তভোগী গৃহবধু কান্নারত অবস্থায় বলেন, আজ বছর দুয়েক হলো আমার ভাসুর ও দেওরের সাথে আমাদের সম্পর্ক নেই, আমার মেয়ের বিয়ের নাকের ফুল পরানো হয়েছে এটা তাদের কে বলা হয়নি কেন এই হলো তাদের রাগ আমার প্রতি। মানছুরার ছেলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমার চাচা তবিবুর রহমান এলজিডি তে চাকরির কথা বলে গত ইউপি নির্বাচনের পর ২৫ হাজার টাকা নিয়ে ছিলো, সেই চাকরি আমার হয়নি, এখন সেই টাকা ফেরত চেয়েছি বলে আমাদের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি করেছে।
মহব্বত আরও বলেন, আমার চাচাদের জন্য আমরা খুবই অনিরাপদ ও জীবন নাশের ভয়ে গ্রামে বসবাস করছি, আমরা জীবনের নিরাপত্তার ও প্রাণনাশের হুমকির ভয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কিছু জানাতে পারছি না। এদিকে ইউপি মেম্বার আব্দুল আজিজ জানান, ঘটনার দিন জগদল ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবকলীগের কমিটি গঠনে ব্যস্ত ছিলাম। অবশ্য ভুক্তভোগী মহিলা আমাকে জানিয়েছেন। আর মাতব্বররা কি করেছেন আমি জানিনা। ঘটনার এ বিষয়টি দেশের সর্বোচ্চ গোয়েন্দাদের নজরদারীতে আছে।