ফরিদপুরের নগরকান্দায় পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তালমা ইউনিয়নের বিলনালিয়া গ্রামের একটি পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে উপজেলার তালমা ইউনিয়নের তালমা-রসুলপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে বিলনালিয়া মোড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিন একর জমিতে একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরে মাছ চাষ করে আসছেন দক্ষিণ বিলনালিয়া জামে মসজিদের পরিচালনা পর্ষদ। ঐ পুকুরের আয়ের টাকা মসজিদ উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা হয়।
অন্যদিকে পুকুরের মাছ চাষের দাবী করছেন এলাকার আলেম মাতুব্বরের ছেলে উজ্জল মাতুব্বর ও মোশারফ মাতুব্বর।
উজ্জল মাতুব্বর বলেন, জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার রাতের কোন এক সময় পুকুরে বিষ দেয় প্রতিপক্ষের দুর্বৃত্তরা। বুধবার সকালে পুকুরে গিয়ে দেখা যায়, সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। পরে দুর্বৃত্তদের লোকজনই সেই মরা মাছ আমাদের সামনে ধরে নিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে।
বিলনালিয়া মসজিদের মুসল্লী ফজলু শেখ, আজিজুল শেখ, সাইদ ফকির ও আবতার মাতুব্বর বলেন- যেই পুকুরের আয় দিয়ে মসজিদের উন্নয়ন করা হয়- সেই পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মারার বিষয়টি খুবই দু:খজনক। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারী পৌরসভায় ১১৩ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
মসজিদ কমিটির সভাপতি তৈয়াবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ঐ পুকুরটি মসজিদের পক্ষ থেকে মাছ চাষ করা হইতেছে। এ বছর অর্ধেক মাছ ধরে বিক্রি করা হয়েছে। বাকী মাছ ধরার আগেই পুকুরটি দখল করার উদ্দেশ্যে উজ্জল ও মোশারফ পুকুরে কয়েক কেজী পোনা ছেড়ে দেয়। হঠাৎ আজ কারা যেন সেই পুকুরের পানিতে বিষ ঢেলে দিয়েছে।
তালমা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া বলেন- বিষয়টি আমি শুনেছি। ভাল করে খোজখবর না নিয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না।
নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিল হোসেন বলেন- মসজিদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha