রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউপির শিহর গ্রামে এবিএম নাজিম উদ্দিন আহমেদ ওয়াহাব’র ভোগদলীয় তিনটি আমগাছ থেকে শুক্রবার (২৭ মে) সকালে জোর করে আম পারার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এবিএম নাজিম উদ্দিন আহমেদ ওয়াহাব’র ঘরের সামনে পুকুরচালায় তার দখলীয় তিনটি আমগাছ থেকে তার ভাতিজা রকি (৩২) ও রকসি (২৭) জোর করে আম পেরে নেয়। আম পারা নিষেধ করলে রকি ও রকসি এবিএম নাজিম উদ্দিন ওয়াহাব ও তার ছোট ভাই জমির উদ্দিনসহ পরিবারের লোকজনকে হুমকি প্রদর্শন করে।
এ নিয়ে উভয় পরিবারের লোকজনের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পাংশা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। ঘটনার পর থেকে এবিএম নাজিম উদ্দিন আহমেদ ওয়াহাবসহ তাদের পরিবারের লোকজন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে এবিএম নাজিম উদ্দিন আহমেদ ওয়াহাবের ছোট ভাই জমির উদ্দিন (৪৭) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে খোকসা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ অপহরণের ১৪ দিন পর কিশোরীকে উদ্বার করল র্যাব
ভুক্তভোগী পরিবারের এবিএম নাজিম উদ্দিন আহমেদ ওয়াহাব জানান, তার ভাই মৃত নাসির উদ্দিন গনির ছেলে রকি ও রকসি কয়েকদিন ধরে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছে। যে কোন সময় তারা ক্ষতিসাধন করতে পারে এমন আশংকা নিয়ে তার পরিবার দিনযাপন করছে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে তিনি নিজে বাদী হয়ে রকি ও রকসির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে পাংশা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে রকি ও রকসি জোর করে আম পেরে নেয়। তিনি বলেন, তার অপর ভাই হাসিব উদ্দিন মাস্টার ও মাছপাড়া ইউপির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন আহমেদের বাধা ও অসহযোগিতার কারণে তার ভাগ্নি রোকেয়া সুলতানা (চম্পা) বৈধ সম্পত্তি বুঝে পাচ্ছে না।
ভাগ্নি চম্পা বিভিন্ন সময়ে তার প্রাপ্য সম্পত্তি বুঝে নিতে দাবী-দাওয়া তুললে শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও হাসিব উদ্দিন মাস্টার বিষয়টির গুরুত্ব না দিয়ে নানা টালবাহানা করছে এবং তাদেরই ইন্দনে জোর করে আম পারা হয়েছে বলে সন্দেহ করেন তিনি। এ ব্যাপারে শাহাবুদ্দিন আহমেদ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha