ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তুচ্ছ ঘটনায় মা-বাবা হারা কলেজ ছাত্রের গলায় ফাঁস Logo ইবি উপাচার্যকে ১০ লাখ টাকা ঘুষের প্রস্তাব, থানায় জিডি Logo কুষ্টিয়ায় হাসপাতাল কর্মচারীর বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ Logo সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশন পর্তুগালের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ও ইফতার অনুষ্ঠিত Logo রমজানে পণ্য মূল্য সহনীয় রাখতে চরভদ্রাসনে বাজার মনিটরিং Logo বোয়ালমারীতে ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেল শান্তা Logo গোমস্তাপুরে মেসার্স নজরুল অটো রাইস মিলের উদ্যোগে ইফতার অনুষ্ঠিত Logo নোয়াখালীতে পুকুরে মিলল ১০ কেজি ইলিশ Logo হাতিয়ায় আর্থিক স্বাক্ষরতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo রাস্তায় ঘুরে ঘুরে নিম্ন আয়ের লোকেদের ইফতার সামগ্রী দিচ্ছেন সুমন রাফি
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

১৯৭১ আমরা শহীদ পরিবার শহীদ স্মৃতি সংরক্ষন কমিটির উদ্যোগে ফরিদপুরে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

একাত্তরের  শহীদ পরিবার ও  গণহত্যা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিনম্র শ্রদ্ধা ও  কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ আজ সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদুল হক সাজ্জাদ এর  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বীরঙ্গনা মনোয়ারা বেগম, বীরঙ্গনা  মায়া রানী সাহা, শহীদ পরিবারের সন্তান বিল্লাল শিকদার, বাদল মুন্সি, পরিতোষ সাহা গজেন, অমর সাহা তপু , বীর মুক্তিযুদ্ধা পিকে সরকার , বীরঙ্গনা ফুলবানুর ছেলে মিরান প্রমূখ।
সভায় শহীদ পরিবারের সন্তানেরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের বঞ্চনার কথা  কথা তুলে ‌ ধরেন। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে  ১৪ দফা দাবি তুলে ধরেন।
বক্তার আক্ষেপ করে বলেন  ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও তাদেরকে নানাভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। এদেশে রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে। তাদের বিভিন্ন ধরনের  সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে  তাদের মাসে  মাসে ভাতা দেয়া হচ্ছে। অথচ আমরা যারা শহীদ পরিবারের সন্তান তাদের প্রতি কোন নজর দেয়া হয়নি। আমরা দিনের পর দিন বঞ্চিত থেকেছি  সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা  পাইনি।
 বক্তারা গণহত্যায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান সকল শহীদের নাম গেজেটভুক্ত করার দাবি জানান, যে সমস্ত এলাকায় যে তারিখে গণহত্যা হয়েছে সেসব  স্থানে স্থানীয় প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি পালন করার আহ্বান, পাকিস্তানের কাছ থেকে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করত ক্ষতিগ্রস্ত শহীদ বীরঙ্গনা পরিবারগুলোকে সহায়তা ও সহযোগিতা করা , প্রতিটি পরিবারকে বিনাশর্তে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা, শহীদ ও নির্যাতিতা মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান প্রদর্শনের জন্য রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ের সভা-সমাবেশের শুরুতে এক নীরবতা পালন ইত্যাদি সহ ১৪ দফা দাবি প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাদের সম্মান দেওয়ার কারণে তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।এ সময় বেশিরভাগ বক্তা ‌ দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমে থাকা কথাগুলো তুলে ধরতে যেয়ে বারবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কামরুজ্জামান সুমন।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তুচ্ছ ঘটনায় মা-বাবা হারা কলেজ ছাত্রের গলায় ফাঁস

error: Content is protected !!

১৯৭১ আমরা শহীদ পরিবার শহীদ স্মৃতি সংরক্ষন কমিটির উদ্যোগে ফরিদপুরে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ০২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
একাত্তরের  শহীদ পরিবার ও  গণহত্যা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিনম্র শ্রদ্ধা ও  কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ আজ সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদুল হক সাজ্জাদ এর  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বীরঙ্গনা মনোয়ারা বেগম, বীরঙ্গনা  মায়া রানী সাহা, শহীদ পরিবারের সন্তান বিল্লাল শিকদার, বাদল মুন্সি, পরিতোষ সাহা গজেন, অমর সাহা তপু , বীর মুক্তিযুদ্ধা পিকে সরকার , বীরঙ্গনা ফুলবানুর ছেলে মিরান প্রমূখ।
সভায় শহীদ পরিবারের সন্তানেরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের বঞ্চনার কথা  কথা তুলে ‌ ধরেন। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে  ১৪ দফা দাবি তুলে ধরেন।
বক্তার আক্ষেপ করে বলেন  ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও তাদেরকে নানাভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। এদেশে রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে। তাদের বিভিন্ন ধরনের  সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে  তাদের মাসে  মাসে ভাতা দেয়া হচ্ছে। অথচ আমরা যারা শহীদ পরিবারের সন্তান তাদের প্রতি কোন নজর দেয়া হয়নি। আমরা দিনের পর দিন বঞ্চিত থেকেছি  সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা  পাইনি।
 বক্তারা গণহত্যায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান সকল শহীদের নাম গেজেটভুক্ত করার দাবি জানান, যে সমস্ত এলাকায় যে তারিখে গণহত্যা হয়েছে সেসব  স্থানে স্থানীয় প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি পালন করার আহ্বান, পাকিস্তানের কাছ থেকে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করত ক্ষতিগ্রস্ত শহীদ বীরঙ্গনা পরিবারগুলোকে সহায়তা ও সহযোগিতা করা , প্রতিটি পরিবারকে বিনাশর্তে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা, শহীদ ও নির্যাতিতা মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান প্রদর্শনের জন্য রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ের সভা-সমাবেশের শুরুতে এক নীরবতা পালন ইত্যাদি সহ ১৪ দফা দাবি প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাদের সম্মান দেওয়ার কারণে তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।এ সময় বেশিরভাগ বক্তা ‌ দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমে থাকা কথাগুলো তুলে ধরতে যেয়ে বারবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কামরুজ্জামান সুমন।