চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে দাফনের ৫মাস পর মোরশালিন (১৯) নামে এক শ্রমিকের লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। মামলার বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিস মমতাজ ও গোমস্তাপুর থানার ওসি তদন্ত সেলিম রেজা, গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও নাসিরুদ্দিন উপস্থিতিতে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর গ্ৰামের নানিহাটা সরকারি গোরস্থান থেকে শুক্রবার সকালে লাশটি উত্তোলন করা হয় মোরশালিনের ওই গ্রামের শুকুর উদ্দিনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,গত বছরের ১৫আগষ্ট মোরসালিন ঘাটনগর বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে পাশের বাড়ির একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে তাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠে। ওইদিন রাতে তাকে মেরে শোবার ঘরের রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে হত্যাকারীরা চলে যায়। এ ঘটনায় মোরশালিনের মা সিরিনা বেগম বাদি হয়ে মোরশালিনের স্ত্রী চম্পা খাতুনকে প্রধান আসামি করে ৫জনের বিরুদ্ধে এ্যাডঃনজরুল ইসলাম মাধ্যমে ৩ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলাটি গোমস্তাপুর থানা পুলিশকে তদন্তের জন্য হস্তান্তরঢ় করা হয়।এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্ৰেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার তদন্ত কমকর্তা গোমস্তাপুর থানার ওসি তদন্ত সেলিম রেজা মোরশালিনের লাশ উত্তোলনের মাধ্যমে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত লাশ উত্তোলনের অনুমতি দেয়। নিহতের মামা রফিকুল ইসলাম জানান, নিহত মোরশালিনকে হত্যা করে তার বাড়ির শোবার ঘরে ঝুলিয়ে রেখে গেছিলো।তার শরীরে পরিহিত পোষাকে কাঁদা-মাটির চিহ্ন পাওয়া গেছে। পাশের বাড়ির একটি নির্মাণাধীন ভবনের বাথ রুমের ভিতরে তাকে হত্যা করার সময় ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এছাড়াও একটি গামছা ও রশি পড়ে ছিল সেখানে।আর তার স্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছে তার স্বামীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে গেছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত সেলিম রেজা জানান, বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ উত্তোলনের দেয় আদালত, আদালতের নির্দেশনানুযায়ী লাশ তুলে ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫