ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের ফিরোজ খাঁন গংদের ১২ শতাংশ জমিতে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে জোর করে প্রভাব খাটিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই এলাকার মিজানুর রহমান গংদের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের ফিরোজ খাঁনের সঙ্গে একই এলাকার মিজানুর রহমান গংদের পাকুড়িয়া মৌজার (জেএল নং ২৮) বিএস ২২১ ও ২২৪ নম্বর খতিয়ানের ২৩৮ ও ২৩৭ নম্বর দাগের যথাক্রমে ৮ ও ৪ সর্বমোট ১২ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
বেশ কয়েকবার এ নিয়ে সালিশি বৈঠকের আয়োজন করেও কোনো সুরাহা হয়নি। আপস মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, ফিরোজ খাঁন চলতি বছরের ৮ জুন আলফাডাঙ্গা সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। পরবর্তীতে আদালত বিরোধীয় জমিতে উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মিজানুর রহমান গং বিরোধপূর্ণ জমিতে কিছু সংখ্যক রাজমিস্ত্রী নিয়ে একতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
পরে ফিরোজ খাঁন দখলের কাজে বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরবর্তীতে আদালত আবারও ওই জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার এবং ভবন নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। তারপর কিছুদিন নির্মাণকাজ বন্ধ রাখলেও গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে মিজানুর রহমান গং নির্দেশনা অমান্য করে আবার ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ৮-১০ জন নির্মাণ শ্রমিক ভবন তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ফিরোজ খাঁন বলেন, আদালত ভবন নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তারা শুনছেন না, ভবন নির্মাণ করেই যাচ্ছেন। ওই জমির এসএ রেকর্ড, বিএস রেকর্ড আমাদের নামে রয়েছে। এছাড়া জমির ভূমি উন্নয়ন করও নিয়মিত পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু তারা সেই জমিতে জোরপূর্বক দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ করছেন। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha