ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট এখন নিজেই রোগী Logo কুষ্টিয়ায় ২২ লক্ষাধিক টাকার হেরোইন উদ্ধার করেছে বিজিবি Logo তানোরে বীজের পর সার সঙ্কট, দিশেহারা কৃষক Logo রূপগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ছাত্রদলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo দৌলতপুরে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত Logo মাগুরাতে জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন Logo তানোরের জুমারপাড়া বালিকা বিদ্যালয় নানা সমস্যায় জর্জরিত Logo লালপুরে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন Logo মুকসুদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মিয়া আটক Logo “এখনো গুলির শব্দ কানে বাজে” – শাহদৌলা সরকারি কলেজ কর্তৃক স্মরণ সভায় গুলি বিদ্ধ রনি আহমেদ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চরভদ্রাসনে টানা বর্ষনে ১ হাজার ৬শ একর রবি ফসল বিনষ্ট

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চারটি ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার ৬শ’ একর রবি ফসলী মাঠ গত দু’দিনের টানা বর্ষনে পানিতে ডুবে বিনষ্ট হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছেন।
ইউনিয়ন চারটি হলো-উপজেলার চরভদ্রাসন ইউনিয়ন, গাজীরটেক ইউনিয়ন, চরহরিরামপুর ইউনিয়ন ও চরঝাউকান্দা ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার কৃষক পরিবার চলতি রবি মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
দু’দিনের টানা বর্ষনে উপজেলার নিম্নাঅঞ্চলে আবাদকৃত পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, মসুর, বোরো বীজ তলা, গম, ভুট্টা, কালাই, মোটর কালাই, আলু, ধনিয়া, কালোজিরা, মাসকালাই, মুগ, সব্জি ও মেথি ফসল মাঠ পানিতে ডুবে স্বমূলে বিনষ্ট হয়েছে। অধিকাংশ ফসলী মাঠগুলো হাটু পানির নিচে ডুবে রয়েছে। ফলে চলতি রবি মৌসুমের শুরুতেই উপজেলার প্রায় ২ হাজার কৃষক বড় ধরনের গচ্চায় পড়েছে বলে জানিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানান, গত দু’দিনের টানা বর্ষনে উপজেলার ৪৮৪ একর জমির তৈল বীজ সরিষা ফসলী মাঠ, ১৬২ একর ডাল বীজ মসুর, ৪ একজর বোরো বীজতলা, ৪২ একর জমির গম, ৬৫ একর ভূট্টা, ৩০০ একর জমির খেসারী কালাই, ৫০ একর মোটর কালাই, ৪ একর আলু, ১২৫ একর জমির কালোজিরা ১৪৪ একর জমির ধনিয়া, ৯৭ একর জমির পেঁয়াজ, ১০ একর রসুন, ৩২ একর মাসকালাই, ৫০ একর সব্জি ও ৩০ একর জমির মেথি ফসল মাঠ সহ সর্বমোট ১ হাজার ৬শ’ ৬ একর রবি ফসলী মাঠ পানিতে ডুবে বিনষ্ট হয়ে রয়েছে।
এ ব্যপারে মঙ্গলবার উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ মন্ডল জানান, “ক্ষতিগ্রস্থ ফসলী মাঠের জরিপ দ্রুত সংগ্রহ করে সরকারি সাহায্য সহযোগীতার জন্য উর্দ্ধতন দপ্তরে পাঠানা হয়েছে। তিনি আরও জানান, “অধিকাংশ ফসলী মাঠই টানা বর্ষনে পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। মাঠে জলাবদ্ধতা না কমলে ক্ষতির পরিমান বেশী হবে “।
মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক উপজেলা সদরে হাজীডাঙ্গী গ্রামের সাদের মন্ডলের ছেলে আক্কাস মন্ডল (৫০) জানায়, “ একটানা বৃষ্টিতে মাত্র ক’দিন ধরে আবাদ করা এক বিঘাত জমির দানা পেঁয়াজ মাঠ ও ১০ কাঠা জমির মুড়িকাঠা পেঁয়াজ মাঠ হাটু পানির নিচে রয়েছে। এ মৌসুমে ৫০ হাজার টাকা ধারদেনা করে ফসল করেছিলাম। কিন্তু দু’দিনের বৃষ্টিতে সবপূজিঁ শেষ হয়ে গেছে”।
আরেক কৃষক বিএস ডাঙ্গী গ্রামের মুক্তার হোসেন হতাশা ব্যাক্ত করেন, “মৌসুমে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ করে ১০ বিঘাত জমিতে বিভিন্ন প্রকার রবি ফসল আবাদ করেছিলাম। আবাদী জমি নিচু এলাকায় হওয়ায় সব ফসলী মাঠ পানিতে ডুবে বিনষ্ট হয়েছে। পানি কমলে ক্ষতিগ্রস্থ জমিতে আবার গম ফসল আবাদ করা যাবে বলে সে জানায়”।
এ ব্যপারে চরভদ্রাসন সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান বলেন, “ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের স্বাবলম্বি করতে হলে তাদের সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের সহায়তা দিতে হবে। একই দিন উপজেলার চরহরিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর কবির বেপারী বলেন, “ পদ্মার চরাঞ্চলে অত্র ইউনিয়নরে নিম্ন এলাকার অন্ততঃ ৩শ’ একর জমির গম ভুট্টা কালাই মসুর সহ বিভিন্ন রবি ফসলী মাঠ টানা বর্ষনে ডুবে রয়েছে। এতে চরাঞ্চলের কৃষকরা সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে বলে তিনি জানান”।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট এখন নিজেই রোগী

error: Content is protected !!

চরভদ্রাসনে টানা বর্ষনে ১ হাজার ৬শ একর রবি ফসল বিনষ্ট

আপডেট টাইম : ১০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
মোঃ আসলাম বেপারী চরভদ্রাসন, (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চারটি ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার ৬শ’ একর রবি ফসলী মাঠ গত দু’দিনের টানা বর্ষনে পানিতে ডুবে বিনষ্ট হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছেন।
ইউনিয়ন চারটি হলো-উপজেলার চরভদ্রাসন ইউনিয়ন, গাজীরটেক ইউনিয়ন, চরহরিরামপুর ইউনিয়ন ও চরঝাউকান্দা ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার কৃষক পরিবার চলতি রবি মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
দু’দিনের টানা বর্ষনে উপজেলার নিম্নাঅঞ্চলে আবাদকৃত পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, মসুর, বোরো বীজ তলা, গম, ভুট্টা, কালাই, মোটর কালাই, আলু, ধনিয়া, কালোজিরা, মাসকালাই, মুগ, সব্জি ও মেথি ফসল মাঠ পানিতে ডুবে স্বমূলে বিনষ্ট হয়েছে। অধিকাংশ ফসলী মাঠগুলো হাটু পানির নিচে ডুবে রয়েছে। ফলে চলতি রবি মৌসুমের শুরুতেই উপজেলার প্রায় ২ হাজার কৃষক বড় ধরনের গচ্চায় পড়েছে বলে জানিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানান, গত দু’দিনের টানা বর্ষনে উপজেলার ৪৮৪ একর জমির তৈল বীজ সরিষা ফসলী মাঠ, ১৬২ একর ডাল বীজ মসুর, ৪ একজর বোরো বীজতলা, ৪২ একর জমির গম, ৬৫ একর ভূট্টা, ৩০০ একর জমির খেসারী কালাই, ৫০ একর মোটর কালাই, ৪ একর আলু, ১২৫ একর জমির কালোজিরা ১৪৪ একর জমির ধনিয়া, ৯৭ একর জমির পেঁয়াজ, ১০ একর রসুন, ৩২ একর মাসকালাই, ৫০ একর সব্জি ও ৩০ একর জমির মেথি ফসল মাঠ সহ সর্বমোট ১ হাজার ৬শ’ ৬ একর রবি ফসলী মাঠ পানিতে ডুবে বিনষ্ট হয়ে রয়েছে।
এ ব্যপারে মঙ্গলবার উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ মন্ডল জানান, “ক্ষতিগ্রস্থ ফসলী মাঠের জরিপ দ্রুত সংগ্রহ করে সরকারি সাহায্য সহযোগীতার জন্য উর্দ্ধতন দপ্তরে পাঠানা হয়েছে। তিনি আরও জানান, “অধিকাংশ ফসলী মাঠই টানা বর্ষনে পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। মাঠে জলাবদ্ধতা না কমলে ক্ষতির পরিমান বেশী হবে “।
মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক উপজেলা সদরে হাজীডাঙ্গী গ্রামের সাদের মন্ডলের ছেলে আক্কাস মন্ডল (৫০) জানায়, “ একটানা বৃষ্টিতে মাত্র ক’দিন ধরে আবাদ করা এক বিঘাত জমির দানা পেঁয়াজ মাঠ ও ১০ কাঠা জমির মুড়িকাঠা পেঁয়াজ মাঠ হাটু পানির নিচে রয়েছে। এ মৌসুমে ৫০ হাজার টাকা ধারদেনা করে ফসল করেছিলাম। কিন্তু দু’দিনের বৃষ্টিতে সবপূজিঁ শেষ হয়ে গেছে”।
আরেক কৃষক বিএস ডাঙ্গী গ্রামের মুক্তার হোসেন হতাশা ব্যাক্ত করেন, “মৌসুমে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ করে ১০ বিঘাত জমিতে বিভিন্ন প্রকার রবি ফসল আবাদ করেছিলাম। আবাদী জমি নিচু এলাকায় হওয়ায় সব ফসলী মাঠ পানিতে ডুবে বিনষ্ট হয়েছে। পানি কমলে ক্ষতিগ্রস্থ জমিতে আবার গম ফসল আবাদ করা যাবে বলে সে জানায়”।
এ ব্যপারে চরভদ্রাসন সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান বলেন, “ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের স্বাবলম্বি করতে হলে তাদের সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের সহায়তা দিতে হবে। একই দিন উপজেলার চরহরিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর কবির বেপারী বলেন, “ পদ্মার চরাঞ্চলে অত্র ইউনিয়নরে নিম্ন এলাকার অন্ততঃ ৩শ’ একর জমির গম ভুট্টা কালাই মসুর সহ বিভিন্ন রবি ফসলী মাঠ টানা বর্ষনে ডুবে রয়েছে। এতে চরাঞ্চলের কৃষকরা সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে বলে তিনি জানান”।

প্রিন্ট