ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় সরকারি হালট দখল করে দোকানঘর নির্মান ও ব্যাবসা পরিচালনা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ৩৩নং দরজা পুরুড়া মৌজার সালথা বাজার সংলগ্ন হাইস্কুল রোডের কয়েকজনের বীরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি হালট দখল করে দোকান ঘর নির্মান করেছেন বলে জানা যায়।
জানা যায়, সালথা বাজারের ৩৩ নং দরজা-পুরুরা মৌজার হালট শ্রেণির ২৯ ও ১৪ নম্বর দাগের সম্পত্তি দখল করে পাঁকা দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন স্থানীয় ভাওয়াল গ্রামের মৃত রহমান মুন্সির ছেলে জাফর মুন্সি সহ কয়েকজন। এতে বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ব্যবসায়ীরা মনে করেন, তার দেখাদেখি অন্যরাও বাজারে থাকা সরকারি খাস জায়গায় আরও দোকান নির্মাণ করার জন্য উৎসাহিত হবেন।
স্থানীয় অভিযোগ করে জানায়, বিগত প্রায় ১৫ বছর পূর্বে উক্ত জায়গায় পাঁকা ঘর নির্মাণ করা হয়। খবর পেয়ে সদ্য বিদায়ী ইউএনও মোহাম্মদ হাসিব সরকার উক্ত দোকান ঘর বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর জাফর মুন্সী পুনরায় নিজের ইচ্ছা মাফিক দোকান খুলে ভাড়া প্রদান করে। জানি না কার ইশারায় বাজারে থাকা হালট জায়গা দখল করে দোকান পরিচালনা করে। পূর্বে হালটটি ২০ ফটের অধিক থাকলেও বর্মানে ৩/৪ ফুট আছে। কয়েকজন সরকারি হালটটি দখল মুক্ত করে রাস্তা নির্মাণের অনুরোধ জানায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পার্শ্ববর্তী এক বাসিন্দা বলেন, এক সময় এখানে কোন দোকানঘর ছিল না, গাছপালা ও ফাকা জমি ছিল হটাৎ করে কিভাবে দোকান নির্মান হল তা বুঝতে পারলাম না। শুনতে পেলাম এখান দিয়ে রাস্তা নির্মান হবে সেসময়ের ইউএনও মোহাম্মদ হাসিব সরকার মাপামাপি করে হালট বের করেন এবং দোকানঘরটি বন্ধ করা সহ জমি খালি করে দিতে বলেন। বন্ধ থাকার পর হটাৎ করে কিছুদিন যাবৎ দোকানঘরটি আবার খুলে ব্যবসা পরিচালনা করতে দেখছি। সাবেক ইউএনও স্যার থাকলে হয়তো অন্য কিছু হত। সরকারি জমি বেদখলে থাকলে বাক-বিতন্ডা হতে পারে। তাই সরকারি জমিতে আমরা রাস্তা নির্মানের দাবি জানাই।
উপরোক্ত হালটের পশ্চিম পাশের বসবাস কারী দোকানদার জাফর শেখ জানান, আমাদের জায়গা মালিকানা শেষ জায়গা, আমার জায়গার পরে প্রায় ২৩ ফুট সরকারি হালট থাকার কথা কিন্তু তা এখন আর নাই। তিনি আরো বলেন, এখান দিয়ে রাস্তা বের হলে বাজারের যানজট নিরসন হবে যাতে করে শত শত মানুষের চলাচলে সুবিধা হবে।
এ বিষয়ে দোকানঘর নির্মানকারী ঘর মালিক জাফর মুন্সী বলেন, এটা আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। এখানে কিছু সরকারি ও কিছু মালিকানা সম্পত্তি রয়েছে। আমার দলিল ও পিট দলিল রয়েছে। আমি সাবেক ইউএনও এর অনুমতি নিয়েই পুনরায় দোকান খুলেছি। এ বিষয়ে সালথা উপজেলার বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ তাছলিমা আকতার বলেন, এই বিষয়ে আমি অবগত নই। ম্যাপ দেখে সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে উক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।