ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ১১ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কজনক। শুক্রবার রাতে উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বিলপুটিয়া ও জয়দেবপুর গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শনিবার বিকেল পর্যন্তু কোন পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি বলে ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে বুড়াইচ ইউনিয়নের বিলপুটিয়া গ্রামের অহিদুল মোল্যার ছেলে সাগর মোল্যার বিয়ের ব্যাপারে কনে পক্ষের লোকজন ওই বাড়িতে দেখতে আসেন। বিষয়টি অহিদুল মোল্যা তার বড় ভাই ফারুক মোল্যার পরিবারকে না জানিয়ে পাশের জয়দেবপুর গ্রামের মোল্যা বংশের লোকজনকে জানান। ঘটনাটি ফারুকের ছেলে লিটন আক্ষেপ করে অহিদুলের বড় ছেলের কাছে বিদেশে ফোনে জানান।
এর জেরে কয়েকদিন ধরে চাচাতো ভাই সাগরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলছিলো লিটনের। এ ঘটনায় জয়দেবপুর গ্রামের লোকজন বিলপুটিয়া গ্রামের লোকজনের সঙ্গে বিতর্ক করতে করতে দুই গ্রামবাসী এক পর্যায়ে শুক্রবার সন্ধ্যার পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়গ্রুপের নারীসহ ১১ জন আহত হন।
আহতরা হলেন, বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রামের কওসার মোল্যা (৭০), কওসার মোল্যার ছেলে হাফিজুর মোল্যা (২০), বিলপুটিয়া গ্রামের তারিকুল মোল্যা (৩৫), স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মুনছুর মোল্যার ছেলে সুফিয়ার মোল্যা (৩৫), নাজমা বেগম (৩৫), জুলেখা বেগম (৩৮) ও অহিদুল মোল্যার বড় ভাই ফারুক মোল্য (৫০)। এছাড়া অহিদুল গ্রুপের জয়দেবপুর গ্রামের ছাইফুল মোল্যা (৫০), কামাল মোল্যা (২৫), পান্নু মোল্যা (৪০) ও হেলাল মোল্যা (২৮) আহত হয়।
আহতরা আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে কাওসার মোল্যা ও তার ছেলে হাফিজুর মোল্যার অবস্থা আশঙ্কজনক।
গতকাল শনিবার বিকেলে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কোন পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha