মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানাধীন চর চৌগাছী ও ঘসিয়াল গ্রামবাসীর আয়োজনে গড়াই নদীতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ৯ নভেম্বর দুপুর ২ টার সময় মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলা ক্লাব গড়াই এর প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং চরচৌগাছী ও ঘসিয়াল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা কমিটির আহবায়ক মোঃ লিটন বিশ্বাসের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও পরিচালনায় এই বাইচের আয়োজন করা হয়। শ্রীপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ সোলায়মান মোল্লার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য মাগুরা ১ আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগ মাগুরা শাখারুল ইসলাম শাকিল, উপজেলা চেয়ারম্যান শ্রীপুর মিয়া মহিদুল ইসলাম গনি, উপজেলা নির্বাহি অফিসার শ্রীপুর লিউজা উল জান্নাহ, সভাপতি শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও চেয়ারম্যান হুমাউনুর রশিদ মুহিত, সাধারণ সম্পাদক শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ মাগুরা মীর রাশেদুল ইসলাম সুমন, দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন কানন, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আনিচুর রহমান কনক, জেলা পরিষদ সদস্যা মোঃ আরজান বাদশাহ সহ জেলা আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, এবং যুব লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ দেখতে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই গড়াই নদীর পাড়ে আসতে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ। দুপুর ৩ টায় শুরু হয় আকর্ষণীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। নৌকা বাইচে অংশ নেয় সোনার বাংলা নৌকা, লালন শাহ নৌকা , তুফান, পঙ্কীরাজ নৌকা, একতা এক্সপ্রেস, উড়ন্ত পাখি, সেই লালন শাহ নৌকা সহ মোট ০৯টি নৌকা বাইচ দল। স্থানীয় টিকারবিলা ঘাট থেকে ঘসিয়াল ঘাট পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাইচ প্রতিযোগিতার অংশ ছিল।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ দেখতে নদীর পাড়ে অন্তত ২০ হাজার মানুষ ভিড় করে। এ সময় বাইচের নৌকার পাশাপাশি বিভিন্ন ট্রলার, স্পিডবোটে চড়ে দর্শণার্থীরা আনন্দ করেন। নৌকা বাইচে অংশ নেওয়া প্রতিযোগীরা জানান, আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নৌকা বাইচে অংশ নেয়। সখের বশে মানুষকে আনন্দ দিতে তারা বাইচে অংশ নেয়।
প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, প্রাচীনকালে বিনোদনের মাধ্যম ছিল এই নৌকা বাইচ। আমরা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য এবং মানুষ কে আনান্দ- বিনোদন দেওয়ার জন্য আমাদের এই আয়োজন।