১৫ অক্টোবর শুক্রবার সরেজমিন গিয়ে বেলা ১২টার দিকে পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রীজের কাছে এবং বাহাদুরপুর-রায়টা পাথর ঘাটের মাঝামাঝি বিভিন্ন স্থানে অসাধু জেলেরা সরকারের কঠোর নির্দেশ ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদীতে জেলেরা কারেন্ট জাল পেতে অবাধে ডিমওয়ালা মা ইলিশ শিকার করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন নামে মাত্র অভিযান চলছে।
পদ্মার তীরবতী এলাকার আমিরুল,আব্দুল আলীমসহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নদীতে নিভরশীল লাইসেন্স প্রাপ্ত কিছু জেলে এবং এলাকার সাধারণ মানুষ রাতের অন্ধকারে মা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রকারের মাছ শিকার করছে নিয়মিত। যার ফলে ভাবিষ্যৎ জাতীয় ইলিশ মাছ উৎপাদনে ব্যহত হচ্ছে। প্রতিবার এ মৌসুমে জেলেদের সরকারী অনুদান দিলে ও এবার তা দেওয়া হয়নি।ফলে তাদের পেটের খুদায় মাছ মেরে বিক্রিয় করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে তারা।
গত ১১দিনের মধ্যে মাত্র ৩দিন ৯ ,১২ ও ১৪ অক্টোবর ভেড়ামারা ভুমি কর্মকর্তা(এসিল্যান্ড)মোছাঃ রোকসানা খাতুন ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ডি এফ ও) নদীতে অভিযার চালিয়ে বেশকিচ্ছু কারেন্ট জাল উদ্ধার করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। সরকারী টাকা বরাদ্ধ থাকলে ও বাকীদিনগুলো নামকাওয়াস্তে অভিযান চলছে । এবার প্রচার প্রচারণা খুবই কম লক্ষ্য করা গেছে।
কারণে জানা গেছে। ভেড়ামারা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাম্মী শিরীন গত ৭ এপ্রিল/২১ থেকে যোগদানের পর ভেড়ামারায় থাকা বার্ধতামুলক। তিনি এ নিয়মকে বৃদ্ধা আঙ্গল দেখিয়ে এ যাবৎ কাল পার্শ্ববতী উপজেলা ঈশ্বরদী নিজ বাড়ি থেকে ভেড়ামারায় অফিস করেন। যা প্রায়দিনই অফিসে হাজিরা অনিয়ম। আর এই জন্যই মা ইলিশ নিধন প্রতিরোধে আরো ঢিলেঢালা অভিযানের মুল কারণ বলে অফিসের ভিতরে এবং বাহিরে লোক জানিয়েছেন।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীনেশ সরকার ছুটিতে থাকায় ভেড়ামারা ভুমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড)মোছাঃ রোকসানা খাতুন জানান, ইলিশের ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ জারি করা হয়েছে। আমি নিজে ও ২দিন নদীতে অভিযানে গিয়ে কারেন্ট জাল ও মা ইলিশ উদ্ধার করেছি।
এ ব্যাপারে মোকারিমপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ জানান, আমার ইউনিয়নে সরকারি সুবিধাভোগী কোনো জেলে অন্যায় ভাবে আইনকে উপেক্ষা করে মা ইলিশ ধরলে তাদের নাম সব ধরনের সরকারি সাহায্যের তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হবে।
ভেড়ামারা উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, তাদের অভিযান তৎপরতা জোরাল আছে।তিনি বলেন আমাদের একটি ট্রলার সবসময় নদীতে টহলে থাকে। আমরা খবর পেয়ে ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থল ছুটে যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে যায়। আমরা সাধ্যমতো অভিযান চালাচ্ছি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫