কুষ্টিয়ার খোকসায় ৬৩ টি পূজামণ্ডপে মহাসপ্তমীতে জমে উঠেছে শারদীয় দুর্গোৎসব। গত সোমবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
শিশিরভেজা শরতের কাশফুলের কোমল শুভ্রতায় ভেসে প্রকৃতির বুকে অনাবিল আনন্দের বন্যায় আগমনের সাথে সাথে প্রতিবারের মতো এবারও খোকসায় মাতৃরূপী শ্রীশ্রীদুর্গাদেবীর আরাধনা উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিজয় দশমীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হবে।
পুলিশ প্রশাসন ও খোকসা পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা যায় এ বছর সর্বাধিক ৬৩ পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরী ও আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন হচ্ছে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুধাংশ কুমার বিশ্বাস মাধব বলেন আমরা সবাই মিলে মাতৃ আরাধনায় নিজেদের সমর্পণ করতে পেরে আনন্দিত সেইসাথে তিনি আগামী দিনগুলোতে সার্বজনীন দুর্গোৎসব সুন্দর ও সার্থক করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র মালাকার বলেন আমি আশা করি প্রতিবারের এবার আপামর জনসাধারণ সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে পূজারী শুভদিনে সবান্ধবে উপস্থিত হয়ে মাতৃ আরাধনা নিজেকে সমর্পণ করবে। তিনি সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবকে সার্থক ও সুন্দর করতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। গত বছর ৬২টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দূর্গা উৎসব পালন করা হয়েছিল ।
এ বছরে সর্বাধিক ৬৩ টি পূজামণ্ডপে দূর্গা উৎসব পালন করা হচ্ছে । এ বছরে খোকসা পৌরসভা ৯টি, জানিপুরে ৮টি, খোকসায় ২টি, শিমুলিয়া ৩টি, বেতবাড়ীয়া ৩টি, শোমসপুর ৫টি। শারদীয়া দুর্গা উৎসবের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান বলেন দূর্গা উৎসবে সবাই মিলে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে খোকসা তথা কুষ্টিয়া জেলা শারদীয় দুর্গোৎসব সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পালিত হবে বলে আমি আশা রাখি।
তিনি আরো বলেন বর্তমান সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক আমরা সরকারের সঙ্গে সহমত পোষণ করে শারদীয় দূর্গোৎসবে যা যা করা দরকার দলের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাহ উদ্দিন বলেন ইতিমধ্যে মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তিনি সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবকে সার্থক ও সুন্দর করতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। থানা অফিসার ইনচার্জ আশিকুর রহমান বলেন পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনগত সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিটি ইউনিয়নে পূজা মন্দিরে একজন এস আই এর নেতৃত্বে টহল পুলিশ ও আনসার রাখা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে ভলেন্টিয়ার দিয়ে পূজা মন্দির পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি শারদীয় দুর্গোৎসব সুন্দরভাবে পালনের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।