ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ ১১ নভেম্বর। দেশের ৬৩ জেলার ৮৪৮টি ইউপিতে এদিন ভোট অনুষ্ঠানের বিষয়ে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল বুধবার জাতীয় নির্বাচন ভবনে এ তফসিল ঘোষণা করেন ইসির সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর, মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ অক্টোবর, বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ও ২৫ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ অক্টোবর এবং ভোট গ্রহণ ১১ নভেম্বর। ৮৪৮টি ইউপির মধ্যে ২০ টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে।
ইসির গতকালের সভায় একটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন ও সপ্তম ধাপে পৌরসভার নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্তও হয়। পৌর ভোটের বিষয়ে ইসি সচিব জানান, দেশের ১০টি পৌরসভায় নির্বাচন আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এই পৌরসভাগুলো হলো ঘোড়াশাল (নরসিংদী), কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), ছাগলনাইয়া (ফেনী), রামগড় (খাগড়াছড়ি), সোনাতলা (বগুড়া), ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর), ডোমার (নীলফামারী), লোহাগড়া (নড়াইল), পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৯ অক্টোবর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ অক্টোবর, বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি ১৬ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৭ অক্টোবর ও প্রতীক বরাদ্দ ১৮ অক্টোবর।
এ ছাড়া ২ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। ২ সেপ্টেম্বর সাংসদ হাসিবুর রহমান স্বপনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
এর আগে গতকাল সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইসি সচিব বলেন, আগামী সপ্তাহে কমিশনের পরবর্তী সভায় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সিইসি নূরুল হুদা দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা আছে। তাই নির্বাচনে উপচে পড়া ভোটার থাকে। রাশিয়া নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে দেশে ফিরে নিজ কার্যালয়ে গতকাল তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইসি মোটেই অনাস্থার জায়গা নয়। জনগণ তো বলেনি আস্থা নেই। রাজনৈতিক দলের লোকেরা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করার কারণে বলেন জনগণের আস্থা নেই। যদি আস্থা না থাকে, যেসব নির্বাচন হচ্ছে তাতে উপচে পড়া ভোটার থাকে কীভাবে? লাইন থাকে, ৬০-৮০ শতাংশ লোক ভোট দেন। এটা আস্থার জায়গা।
আগামী ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হচ্ছে নূরুল হুদা কমিশনের মেয়াদ। পরবর্তী কমিশন কেমন হওয়া উচিত, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘পরবর্তী কমিশন গঠন রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। অবশ্যই এটা হওয়া উচিত। আমি এটাকে সমর্থন করি। যেন নতুন কমিশন সবার সমর্থনযোগ্য হয়।’
রাশিয়ার নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নূরুল হুদা বলেন, ‘৪৯ দেশ থেকে আমরা ২৪৫ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষক গিয়েছিলাম। সেখানে ভোটকেন্দ্র নিয়ে গন্ডগোল, অভিযোগ ছিল না। নেই ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের সুযোগ। তাদের ভোট ইভিএম মেশিনে হয় না, তবে অন্য প্রযুক্তিতে ভোট হয়। পাসপোর্ট দেখে ভোটারকে শনাক্ত করে। ভোট দিলে সঙ্গে সঙ্গে মনিটরে দেখতে পান। সরকারি কর্মচারীরাও অ্যাপের মাধ্যমে ভোট দিতে পারেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha