মাগুরা সদর উপজেলার শিরিজদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ইব্রাহিম বলাৎকার ও যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন বছরের শিশু ইব্রাহিম পিং- মোঃ পিকুল শিকদার বলাৎকারের স্বীকার হয়েছে। শনিবার ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টার সময় ৩৯ নং শিরিজদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী এবং এলাকার সচেতন লোকজন ইব্রাহিমের জন্য আসামি ফরিদ মোল্লা ও হিরণ মোল্লাকে আইনের আওতায় ফাসি ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে। শিরিজদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফিরোজ এলাহী দোষীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, আইনের আওতায় দ্রুত বিচারের দাবী ও দুঃখ-ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর মানববন্ধনের লোকজন ফরিদ ও হিরণের ফাঁসি ও শাস্তির দাবিতে পুরো গ্রামে ঘুরে শ্লোগান দিতে থাকে।
এলাকাবাসীর লোকজন সাংবাদিকদের বলেন, মোঃ ফরিদ মোল্যা (৩৫) পিং- মোঃ মাহাতাব মোল্যা, মোঃ হিরণ মোল্যা (২৫) পিং- আবু বক্কর মোল্যা উভয় আসামিদের বাড়ি বুজরুক শ্রীকুন্ডি ঘোপডাঙ্গা গ্রামে। এরা দুজনেই ভয়াবহ মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ী। এলাকার নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক কয়েকজন মহিলা বলেন, ইব্রাহীম (১০) পিং- মোঃ পিকুল শিকদার কে ২৩ সেপ্টেম্বর আনুমানিক ৮.৩০ টার সময় মলদ্বার দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফরিদের বাড়ির পিছনের আম গাছের গোড়ায় বেহুশ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইব্রাহিমের মা মোছাঃ চায়র বেগম।
এরপর ইব্রাহিমকে দ্রুত বাড়ি নিয়ে এসে মাথায় পানি ঢাললে হুশ ফিরলে সে তার মেজো চাচি এলাচি, নোয়া চাচি নাজমা, দাদি ময়না বেগম ও মা চায়নার সাথে বলে, ফরিদ তাকে ঘরে ডেকে নিয়ে তার সাথে যৌন নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা খুলে বলে।
তার সাথে ফরিদ ও হিরণ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে, পায়ুপথে যৌন লালসা চালিয়ে মলদ্বার ফাটিয়ে রক্ত বের করে ফেলেছে। এই ঘটনা শুনার পর তৎক্ষনাৎ ইব্রাহিমের অবস্থা আশঙ্কা জনক ও খারাপ হতে থাকলে ঐ রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাগুরা সদর থানায় এজাহার দায়ের করলে, মামলা নং ৩৩ এবং ৯(৩) ধারায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়। এ বিষয়ে মাগুরা সদর ওসি অপারেশন মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, ১৮ বছরের নিচে ছেলে বা মেয়ে যেই হোক, তাকে বলাৎকার বা নির্যাতন করা হলে এটা যৌন নির্যাতনের আইনের শামিল।
ইব্রাহীমের বড় ভাই বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাগুরা সংসদ সদস্য ১ সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে ফরিয়াদ, আসামি ফরিদ ও হিরণকে আইনের আওতায় দ্রুত বিচার ও শাস্তির দাবির ব্যবস্থা করবেন।