রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত একজন আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। তিনি হলেন কোরবান।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার জোড়াদহ ইউনিয়নের জোড়াদহ গ্রামের রজব আলী জোয়ার্দারের ছেলে মানিক জোয়ার্দার, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বাহির বোয়ালদহ গ্রামের মৃত আফিল উদ্দিন সরকারের ছেলে আনোয়ার হোসেন, মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের গাংগুলিয়া গ্রামের হাফিজুর মোল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর মোল্লা (সাগর), ফুলবাগাজী গ্রামের আজিম আলির ছেলে রানা খান (সোলেমান), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড় বোয়ালিয়া গ্রামের লস্কর আলীর ছেলে কাউছার আলী এবং একই উপজেলার কেশবপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে রাজ্জাক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৮ জুলাই মিরপুর উপজেলার পুটিমারি গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কাবিজুর রহমান দৌলতকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। সেদিন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড়আইলচারা এলাকায় একটি পাটখেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ২৯ জুলাই সাতজনকে আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন দৌলতের ভাই আব্দুর রউফ।
পরে মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ১২ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর পরই দন্ডপ্রাপ্ত আসামি কাউছারকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দৌলতের স্বজনরা। আদালতে উপস্থিত তার স্বজনরা বলেন, দৌলতকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। দীর্ঘ ১২ বছর আদালতে মামলার কার্যক্রম শেষে ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এ রায়ে আমরা খুবই খুশি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha