চাঁপাইনবাবগঞ্জের জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার পৌরসভা এলাকার কাজীপাড়া গ্রাম জুড়ে আশ্রয় নিয়েছে দূর্লভ প্রজাতির আবাসিক পাখি শামুকখৈল, বক, শালিক, মাছরাঙা, রাতচোরা, কোকিলসহ হাজার হাজার পাখি। গ্রামের চতুর্দিকের গাছ ও বাঁশ ঝাড়ে আশ্রয় নেওয়া সেসব পাখি দেখে মনে হয় এযেন পাখিদের অভয়ারণ্য। পাখির কলতানে মুখরিত গ্রামের চারপাশ। দেখলেই এক অপূর্ব ভাললাগা কাজ করে। তাইতো পাখি দেখতে আসে প্রচুর দর্শনার্থী। এখন হতে ২২-২৩ বছর পূর্বে গ্রামীণ অঞ্চলের গাছেগাছে দেখা যেত হরেক রকমের পাখি। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়াল দিত আকাশে। খাদ্যের সন্ধ্যানে বেড়িয়ে পরত মাঠে ও দিন শেষে ফিরত নিজ নীড়ে। কিচিরমিচির শব্দে ভরে যেত পাখিদের বসবাসের এলাকা। আজ নেই চিরচেনা সেই গ্রামীণ দৃশ্য। তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী পাখিগুলো আবার গ্রামীণ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে ।
সরোজমিনে গিয়ে সেই প্রাকৃতিক অপূর্ব দৃশ্যের দেখা গেল পৌর সদরের কাজীপাড়া গ্রামে। সেখানে গ্রামের বট, পাইকর, তেতুল, আম, কাঁঠাল, নিম, জাম ও বাঁশ গাছসহ বিভিন্ন গাছে আশ্রয় নিয়েছে দূর্লভ আবাসিক পাখি শামুকখৈল, বিভিন্ন জাতের বক, চড়ুই, রাতচোরা, কোকিল, মাছরাঙ্গাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। গাছের ডালে পাতার নিচে তৈরী করেছে বাসা। পাখির বাসায় ছোট বাচ্চাকে আদর করে খাবার মুখে তুলে দিচ্ছে মা পাখিগুলো।
গ্রামে পাখি দেখতে আসা কয়েকজনের কাছে অনুভূতি জানতে চাইলে বলেন, আমরা এই গ্রামে এসে পাখি দেখে খুবই আনন্দিত। আমরা দীর্ঘ কয়েক বছর পর গ্রামে একসঙ্গে এতগুলো পাখি দেখতে পেলাম। দেখে মনে হচ্ছে এযেন পাখিদেরই গ্রাম। গ্রামবাসীর পক্ষে জানান, আমরা কোন কিছু চাইনা শুধু চাই " পাখিদের গ্রাম ' হিসেবে পরিচিত এবং সরকারি কতৃপক্ষের পৃষ্ঠপোষকতা।
অপরদিকে, উপজেলার কানাইপুকুর গ্রামে ২০০৭ সাল হতে আব্দুস সোবহানের পুকুর পাড়ের ৭টি গাছে আশ্রয় নিয়েছে ১০ হাজার আবাসিক পাখি শামুখখৈল। ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ, এফ, এম আবু সুফিয়ান বলেন, গ্রামীণ অঞ্চলে পাখিদের অবাধ বিচরণ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। তাই পাখি শিকার না করে পাখিদের নিরাপদে বসবাসের জন্য সুযোগ করে দিতে হবে।