রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা হাসান আলী বিশ্বাসের রবিবার ২৯ আগস্ট ৪৬তম বিবাহ বার্ষিকীতে প্রাণের উচ্ছ্বাস বয়ে যায়। নিজের অসুস্থতার কথা ভুলে আওয়ামী লীগের পেছনের দিনগুলির নানা স্মৃতিচারণ করে আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন টানা ৩৬ বছর ধরে পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপালনকারী প্রবীণ নেতা হাসান আলী বিশ্বাস।
প্রায় দুই বছর ধরে অসুস্থ্য হয়ে নিজ বাড়িতে সংবাদপত্র পাঠ ও গল্প করে সময় কাটছে তার। রবিবার ২৯ আগস্ট ছিল আওয়ামী লীগ নেতা হাসান আলী বিশ্বাস ও তার স্ত্রী ধামচন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক রওশন আরা’র ৪৬তম বিবাহ বার্ষিকী।
এ উপলক্ষে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পথচলার সাথী ও শুভাকাঙ্খীরা পাংশার বিষ্ণুপুরের বাড়িতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা হাসান আলী বিশ্বাসকে শুভেচ্ছা জানান। পারিবারিক লোকজন এবং শুভাকাঙ্খীদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি।
জানা যায়, রবিবার দুপুরে পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নিখিল কুমার দত্ত, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, কশবামাজাইল ইউপির বাংলাট গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ বিষ্ণুপুর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে হাসান আলী বিশ্বাসকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
আওয়ামী লীগ নেতা হাসান আলী বিশ্বাস স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৭৩ সালে মাছপাড়ার খন্দকার নুরুল ইসলাম তখন এমপি। তিনি নিজে এবং খন্দকার নুরুল ইসলাম এমপি, চিন্ময় দত্ত, মনজুর মোরশেদ সাচ্চুসহ পাংশা ও রাজবাড়ীর বেশ কয়েকজন নেতা বঙ্গভবনে জুলিও কুরি উপাধিতে ভূষিত বঙ্গবন্ধুকে শুভেচ্ছা জানাতে যান।
ওইদিন ১৪/১৫ বছর বয়সের নিখিল দত্ত আমাদের সাথে উপস্থিত ছিল। বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাত হলে নুরুল ইসলাম এমপিকে বঙ্গবন্ধু লিলিপুট বলে ডাকেন। ওই সময় খন্দকার নুরুল ইসলাম এমপি নিখিল দত্তকে এগিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সামনে যান এবং নিখিল দত্ত বঙ্গবন্ধুর গলায় ফুলের মালা পড়িয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু তখন নিখিল দত্তের গালে চুমুখায়। ছাত্র জীবনে শিশু বয়সে বঙ্গবন্ধুর অভাবনীয় আদর আজও নিখিল কুমার দত্তকে স্মৃতি জাগায়।
রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টেনে হাসান আলী বিশ্বাস বলেন, আমি একটানা ৩৬ বছর পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। রাজনৈতিক জীবনে নানা অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছি। কিন্তু তখন আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয় নাই।
প্রিন্ট