রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর পূর্বপাড়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক জমির উদ্দিন মাস্টার তার বসতভিটা, বাগানের গাছপালা ও জীবনরক্ষায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। মৃত সুদন প্রামানিকের ছেলে জমির উদ্দিন পাবনা জেলার সুজানগর থানার সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
পেশাগত কারণে তিনি সাতবাড়িয়া গ্রামের ভাড়াবাসায় বসবাস করেন। ছুটি ও প্রয়োজনমত পাংশার হাবাসপুর পূর্বপাড়ার পৈত্রিক বাড়িতে এসে নিজস্ব বসতবাড়ি, গাছপালা ও জায়গাজমি দেখভাল করেন তিনি।
জানা যায়, হাবাসপুর পূর্বপাড়ার নিজ বাড়িতে তার ৩খানা টিনশেড ঘর আছে। বসতবাড়ি, বাড়ির পালান ও আশেপাশে সর্বমোট ৫টি ফলজ ও কাঠ জাতীয় এবং বাঁশের বাগান আছে। বিভিন্ন সময়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তার মালিকানাধীন বাগান থেকে ফল ও গাছপালা কেটে নিয়ে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেছে।
সর্বশেষ গত ১৮মে বাড়ির উত্তর পাশের বাগান থেকে ১টি ইউক্যালিপটাস ও ১টি আমগাছ কে বা কাহারা চুরি করে কেটে নেয়। ওই দিন খবর পেয়ে তিনি ৯৯৯-এ ফোন করলে সেখান থেকে পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টির জন্য সহযোগিতা করতে বলেন।
তাৎক্ষণিক ভাবে পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাকে থানায় এসে অভিযোগ দিতে বলেন। সে মোতাবেক পরদিন ১৯ মে পাংশা মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে গাছ চুরির বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন জমির উদ্দিন মাস্টার। অভিযোগ দায়েরের পর পাংশা থানা পুলিশ ঘটনার বিষয়ে সরজমিন তদন্ত করে চুরি করে গাছ কাটার অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পান এবং গাছ কর্তনকারীকে সনাক্ত করেন।
কিন্তু ঘটনার তিন মাস পার হলেও অভিযোগের বিষয়ে তিনি আইনগত প্রতিকার পাননি বলে জানান। বৃহস্পতিবার ২৬ আগস্ট দুপুরে ঘটনার বিষয়ে এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে ক্ষতিগ্রস্ত জমির উদ্দিন মাস্টার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জমির উদ্দিন মাস্টার উল্লেখ করেন চুরি করে গাছ কাটার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকে তাকে নানাভাবে হুমকি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
জমির মাস্টার বলেন, এর আগেও তার বাগান থেকে ফল চুরি ও চুরি করে গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পদ্মানদীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন তার জমিতে প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা বালু ব্যবসার জন্য বের দিয়ে রেখেছে। একেরপর এক সম্পদহানিতে দিশেহারা তিনি। প্রতিবাদ করলেই হুমকি আসে। তিনি আরও বলেন, পৈত্রিক ভিটেমাটির মায়া ত্যাগ করতে পারিনা। বসতবাড়ি, বাগান ও জীবন রক্ষায় শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫