মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের ১জন নারী সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। গুরুত্ব আহতদের মধ্যে ১২ জনকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে মহম্মদপুর থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, মো: ছামাদ (২৬), আলীম (১৮) শরিফুল (২৭), রিয়াজ (২২) ও নাসির (২০)। উপজেলার পাল্লা শীরগ্রাম ফুটবল মাঠে (১৮ আগষ্ট) বুধবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে বাবুখালী ইউনিয়ন ও দীঘা ইউনিয়নের মধ্যে পাল্লা শীরগ্রাম মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় বাবুখালী ইউনিয়ন দীঘা ইউনিয়নকে ৩ গোল দেয়। মাঠে ফুটবল খেলা চলাকালিন সময় আইয়ুব মোল্লা (২২) একটি গোল মিস করে।
পরে নিজ টিমের খেলোয়ার ছামাদ মোল্লা (২৫) তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে হাতাহাতি কিল ঘুষি মারতে থাকে। উত্তেজনা বসত দেশিয় অস্র দিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এসময় মাঠের বাইরে থাকা সমর্থকেরাও মাঠে প্রবেশ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এসময় কয়েকটি বাড়িঘরসহ রাস্তার পাশে টিনের বেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। খবর পেয়ে বাবুখালী পুলিশ ক্যাম্পের ফোর্স এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
আহত দুই গ্রুপের লোকজন স্থানীয় সাবেক মেম্বর আলম নবী গ্রুপ ও সাবেক মেম্বর আসাদুজ্জামান গ্রুপের সমর্থক বলে জানা গেছে।
গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, পাল্লা গ্রামের মৃত ইদ্রীস মোল্যার ছেলে মো: তুহিন মোল্যা (৩০), মোস্তাক হোসেন (৫০), সোহেল রানা (২৬), সাজ্জাদ মোল্যা (৪৫), সাদেক মোল্যা (৪০), ছবির হোসেন (৫৫), আশরাফুল (৩১), গোলাম হায়দার (৪৫), গোলাম রসূল (৬০) ও সাদেক মোল্যার স্ত্রী ফজিলা বেগম (৩৮)।বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মহম্মদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নাসির উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থাল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।