ফরিদপুরের সালথায় লাভলু ফকির (৪০) নামের এক ভ্যান চালককে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের কাছে থেকে ভ্যানটির অংশবিশেষও উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস কনফারেন্সর মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো: তরিকুল ইসলাম।
আটককৃতরা হলেন, ফরিদপুরের সালথার মীরকান্দি গ্রামের মোফাজ্জেল ফকিরের ছেলে হাতেম ফকির (৩০), একই গ্রামের কুদ্দুছ মীরের ছেলে মিলন মীর (২৫) ও ভুট্টো মাতুব্বরের ছেলে সোহাগ মাতুব্বর (২২) এবং জেলার সালথার দক্ষিণ আটঘর গ্রামের তাজু গাজীর ছেলে ওহিদ গাজী (৩২) ও পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার সুগন্ধি গ্রামের আকুব্বর খাঁনের ছেলে আজিজুল খাঁন (২৬)।
আটককৃতদের কাছে থেকে ছিনতাই হওয়া ভ্যানটির বিভিন্ন অংশবিশেষও উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা ভ্যান চালক লাভলু ফকিরকে হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবী করেন।
পুলিশ জানায়, ফরিদপুর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় নগরকান্দা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও সালথা থানার অফিসার ইনচার্জের কৌশলগত নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও বিশ্বস্ত সোর্সের মাধ্যমে কাজ শুরু করে।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ সালথা থানার একটি চৌকস টিম হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে। এরই ফলশ্রুতিতে তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার (১৬ আগস্ট) বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওই আসামীদেরকে আটক করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালথা থানার এস,আই মো: মিজানুর রহমান বলেন, আমরা আটককৃত পাঁচ জনকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর কোর্টে প্রেরণ করেছি।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আসিকুজ্জামান বলেন, আককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক ও ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এরা একটি চক্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে অপরাধ সংঘটিত করে আসছে।
নগরকান্দা-সালথা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: সুমিনুর রহমান বলেন, আমরা উক্ত ঘটনায় পাঁচ জন আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া এ ঘটনার সাথে আরো কয়েকজন জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছি। তাদেরও দ্রুত আটক করতে পুলিশ কাজ করছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৯ আগস্ট) ফরিদপুরের সালথার মীরকান্দি নামক এলাকায় লাভলু ফকির নামের এক ভ্যানচালকে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। পরের দিন মঙ্গলবার ওই ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার করে সালথা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) লাভলু ফকিরের স্ত্রী সালথা থানায় একটি এজাহার দায়ের করে।