আলিফ হোসেনঃ
রাজশাহীর তানোরে কৃষিকাজে দেখা যাচ্ছে এক নতুন প্রবণতা গরুর বদলে ঘোড়া দিয়ে চাষাবাদ। আধুনিক যন্ত্রের উচ্চমূল্য ও রক্ষণাবেক্ষণ জটিলতার পাশাপাশি বলদের (গরু) সংকট থাকায় কৃষকরা এখন বিকল্প হিসেবে ঘোড়াকে বেছে নিচ্ছেন।এদিকে ঘোড়া দিয়ে মই চাষের সুফল পাওয়ায় ধীরে ধীরে তা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, তানোরের তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) কৃষক নাসির উদ্দীন প্রথম বারের মতো ঘোড়া দিয়ে জমিতে মই চাষ করেছেন। এ খবর জানাজানি হলে এলাকাবাসির মাঝে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। কৃষক নাসির উদ্দিন জানান, বলদ (গরু) না পাওয়ায় ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করার পর, ঘোড়া দিয়ে মই চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এর সুফল দেখে আশপাশের কৃষকরাও ঘোড়া ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
নাসির আরো বলেন, “মাত্র এক ঘণ্টায় দুই বিঘা জমিতে মই চাষ করে ৪০০ টাকা আয় করেছি। এখন প্রতিদিন সাত-আট বিঘা জমিতে কাজ করছি ঘোড়া দিয়ে।”
স্থানীয় কৃষকরাও একমত যে, গরুর তুলনায় ঘোড়া সাশ্রয়ী ও সহজে রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য। যেখানে ট্রাক্টর কেনায় লাগে লাখ টাকা, সেখানে ২০-৪০ হাজার টাকায় একটি প্রশিক্ষিত ঘোড়া দিয়ে চাষাবাদ সম্ভব।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমদ জানান, “বর্তমানে যান্ত্রিক চাষ জনপ্রিয় হলেও গরুর হালের চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ঘোড়া দিয়ে মই চাষ এক কার্যকর বিকল্প। এতে কৃষকদের খরচও কমবে।”এক সময় প্রতিটি কৃষক পরিবারেই গরু-মহিষ ও লাঙল থাকলেও এখন সময় বদলেছে। তবে প্রযুক্তির পাশাপাশি ঘোড়ার মতো সহজলভ্য ও কার্যকর প্রাণী কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে—এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫