খন্দকার সাইফুল্লা আল মাহমুদঃ
নড়াইলের কালিয়ায় ক্লিনিকের অপচিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে খাদিজা সেবা ক্লিনিক নামে এক প্রতিষ্ঠানের অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি তদন্ত দল প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্তে এসে ক্লিনিকটির বিভিন্ন অনিয়ম, নার্স ও ডিউটি ডাক্তার না থাকা, অপারেশন থিয়েটার মানসম্মত না থাকার পরিপেক্ষিতে উক্ত ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ শোয়াইব, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার পার্থ প্রতিম বিশ্বাস, মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান, ডেন্টাল সার্জন মোঃ সারোয়ার হোসেন, উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর মইনুদ্দিন।
উল্লেখ্য (১৩ ই আগষ্ট) বুধবার সকালে উপজেলার কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া পশ্চিমপাড়ার কামাল শেখের স্ত্রী লাবনী আক্তার(১৯) নামে এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য খাদিজা সেবা ক্লিনিক এ ভর্তি হন।
এ সময় সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে প্রসূতি লাবনী জমজ সন্তানের জন্ম দেন।
অপারেশনের পরবর্তীতে প্রসূতি লাবনী আক্তার মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি করে খুলনার একটি হাসপাতালে রেফার করেন ওই ক্লিনিকের পরিচালক খাদিজা পারভীন।
কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার আগেই লাবনীর মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
অপচিকিৎসায় নিহত লাবনী আক্তারের দেবর মোঃ আসলাম অভিযোগ করে বলেন,কোন এনেসথেসিয়া সার্জনের এনেসথেসিয়া ছাড়াই অপারেশন করার কারণে আমার ভাবীর মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও নবজাতক দুটি সন্তান এখন অসুস্থ হয়ে খুলনা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে মোঃ আসলাম জানান, আমার ভাই মা-বাবা সকলেই নবজাতকের চিকিৎসার জন্য খুলনায় অবস্থান করছে। তারা বাড়িতে আসলে আপনাদেরকে জানাবো।
এ বিষয়ে খাদিজা সেবা ক্লিনিকের পরিচালক খাদিজা পারভীনের বক্তব্য আনতে ক্লিনিকে গেলে সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন। এছাড়াও সাংবাদিকদের মামলা হামলার হুমকি দেন।
প্রসূতির মৃত্যুর বিষয়ে নড়াইল জেলা সিভিল সার্জন ডা আঃ রশিদ বলেন, অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সহ একটি তদন্ত টিম পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে তো ক্লিনিক এর অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করা হয়েছে।
ঘটনায় আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্য একটি তদন্ত টিম গঠন করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, খাদিজা সেবা ক্লিনিকের মালিক খাদিজা বেগম কে এর আগেও অপচিকিৎসায় সেবার মান নিম্নমান মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার করার জন্য ভ্রাম্যমান আদালত বেশ কয়েক বার জেল জরিমানা করেছে এবং কয়েকজনের মৃত্যু হলেও এখনো বহাল তবিয়তে চলছে ক্লিনিকটি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫