মোঃ আব্দুল জব্বার ফারুক:
নওগাঁর আত্রাইয়ে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসের বৃষ্টির কারণে বেড়েছে ছাতার কদর। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ছাতা বিক্রি হচ্ছে ভালোভাবে। পাশাপাশি ত্রুটিযুক্ত পুরাতন ছাতা মেরামতের কাজ করতেও ছাতার কারিগরের কাছে ভিড় জমাচ্ছে লোকজন। ফলে ছাতার কারিগরদের কর্মব্যস্ততা বহু গুণে বেড়ে গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসেছে ভাসমান ছাতার কারিগররা। এলাকার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়ে হাটে, বাজারে, রাস্তার পাশে বসে ছাতা মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন তারা। এমন সময়, যখন অন্য পেশার লোকজন অলস সময় পার করছেন, তখন ছাতার কারিগরদের নিশ্বাস নেওয়ারও ফুরসত নেই।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমে ছাতার কারিগরদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। তারা খাওয়া-নেওয়ার কথা ভুলে গিয়ে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। কারিগররা রাস্তার পাশে ছাতা মেরামতের যন্ত্রপাতি নিয়ে বসে আছেন, আবার কেউ কেউ অন্যের ঘরের বারান্দায় বসেও কাজ করছেন। কাজের ওপর ভিত্তি করে মজুরি নিচ্ছেন তারা।
দিঘা গ্রামের কারিগর আমজাদ হোসেন বলেন, “বাবার কাছ থেকে শিখে আমি ১৬-১৭ বছর ধরে এই পেশায় নিয়োজিত। বছরের ছয় মাস এই পেশায় কাজ করি, আর বাকি সময় অন্য পেশায় থেকে জীবিকা নির্বাহ করি। বর্ষা মৌসুমে দৈনিক ১০-১২টি ছাতা মেরামত করি, এতে আয় হয় ৫০০-৫৩০ টাকা।”
আরেক কারিগর, কালিকাপুর গ্রামের আফজাল বলেন, “আমি ১৬ বছর ধরে এ পেশায় আছি। আগে এই সময় অনেক বেশি উপার্জন হতো, কিন্তু এখন মানুষ কম হেঁটে চলে, বেশি সময় যানবাহনে চলাফেরা করে। তাই ছাতার ব্যবহারও কমে গেছে। তবে বছরের ছয় মাস আমি এই পেশায় থাকি, অন্য সময় মাছের ব্যবসা করে জীবিকা চালাই।”
আফজালের কাছে আসা একজন, জয়নাল, বলেন, “আমার বাড়িতে একটি ছাতা ভাঙা অবস্থায় পড়ে ছিল। সেটি মেরামত করাতে এসেছি।”
একই কারিগরের কাছে আসা বজলু বলেন, “নতুন একটি ছাতা কিনতে ৩৫০-৪০০ টাকা লাগে। বর্তমানে পুরাতন ছাতাটি মেরামত করালেই কাজ চলবে, এতে কিছু টাকা সাশ্রয় হবে।”
১নং শাহাগোলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আসরাফ আলী বলেন, “বছরের অন্য সময় ছাতার কারিগরদের তেমন কাজ থাকে না। তাই বর্ষার জন্য ছাতার কারিগরদের অপেক্ষা করতে হয়। এই সময়ে তাদের ব্যবসা ভালো চলে।”
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫