আসলাম বেপারীঃ
শ্রাবণের উত্তাল পদ্মা নদী পাড়ি দিতে এখন থেকে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের গোপালপুর ও মৈনট ঘাট নৌরুটে যাত্রীদের জন্য লাইফ জ্যাকেট পরিধান বাধ্যতামূলক করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৈরী আবহাওয়ায় যাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা খাতুন।
মঙ্গলবার বিকেলে ইউএনও মনিরা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, “প্রত্যেক যাত্রীকে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে পদ্মা পারাপার নিশ্চিত করতে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি। কেউ গরমের অজুহাতে লাইফ জ্যাকেট পরতে না চাইলে, তাকে স্পিডবোট থেকে নামিয়ে লঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের অনেকের এই অভ্যাস না থাকলেও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, গোপালপুর ও মৈনট ঘাট দিয়ে প্রতিদিন আশপাশের তিন উপজেলা ও ফরিদপুর জেলা শহরের শত শত যাত্রী স্বল্প সময়ে স্পিডবোটে পদ্মা নদী পার হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করেন। বড় স্পিডবোটগুলোতে ১৮ জন ও ছোটগুলোতে ১০ জন করে যাত্রী পরিবহন করা হয়।
নিরাপত্তার অংশ হিসেবে প্রতিটি স্পিডবোটে পর্যাপ্ত সংখ্যক লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় এসব লাইফ জ্যাকেট যাত্রীদের পানিতে ভেসে থাকতে সহায়তা করে, যা প্রাণ বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ঢাকা থেকে গোপালপুর ঘাটে পৌঁছানো এক যাত্রী রতন মোল্যা (৪৫) বলেন, “লাইফ জ্যাকেট পরতে কিছুটা অস্বস্তি হলেও এটা জীবন রক্ষায় অত্যন্ত জরুরি। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”
আরেক যাত্রী হাসান ফকির (৪৮) বলেন, “শ্রাবণের এ উত্তাল পদ্মায় লাইফ জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক করায় আমরা আরও নিরাপদ বোধ করছি। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।”
এ বিষয়ে গোপালপুর ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী সোহেল হাসান জানান, “আমরা প্রতিটি যাত্রীর লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে ছবি তুলে রাখছি। যেসব স্পিডবোটে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট নেই, সেগুলো আপাতত পদ্মা নদীতে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।”
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫