রাশিদুল ইসলাম রাশেদঃ
নাটোরের লালপুরে দুষ্কৃতিকারীরা উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম কলার বাগান কেটে নষ্ট করায় অঝোরে কাঁদছেন এক অসহায় ও অসুস্থ বৃদ্ধ কৃষক। রবিবার (২৭ জুলাই) রাতে দুষ্কৃতিকারীরা তার বাগানের ৭৫ কাঁদি কলা কেটে নষ্ট করেছে বলে জানান তিনি। ভুক্তভোগী কৃষক মোঃ এলাহী প্রামানিক (৬৫) উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর (বাঙালপাড়া) গ্রামের মৃত. তাজিমুদ্দিন প্রামানিকের ছেলে। তিনি বলেন, এক সময় শরীরে জোর ছিল। পরিশ্রম করে জমি কিনে বসতবাড়ি করেছেন। মাঠে কয়েক বিঘা জমি কিনেছিলেন।
দুই ছেলে বিয়ে করে পৃথক সংসার গড়েছেন। তাদের কিছু জমি দিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা আবাদ ও দিনমজুরি করে নিজেদের সংসার চালান। স্ত্রীকে নিয়ে ছোট্ট সংসার চালাতে অবশিষ্ট জমিতে ৫ বছর আগে কলার বাগান করেছিলেন তিনি। বাগানের কলা বিক্রি করে কোনরকমে সংসার চালান। সেই সাথে স্ত্রী ও নিজের ওষুধপত্রের খরচও চালাতে হয়।
এলাহী প্রামানিক আরও বলেন, বর্তমানে আমার কলা বাগানে প্রায় ২০০ টি কলা গাছ আছে। ২ মাস আগে অর্ধেক গাছে কলার ফুল ও কাঁদি আসে। আর এক/দেড় মাস পরে কলাগুলো বিক্রির উপযুক্ত হতো। পরিকল্পনা ছিল কলাগুলো বিক্রি করে আবার ডাক্তার দেখাবেন তিনি। কিন্তু বিধি বাম। সকাল ৮টার দিকে কৃষ্ণরামপুর হিন্দুপাড়া গ্রামের শ্রী বিপদ কুমার (৫১) বাড়িতে এসে কলা বাগান নষ্টের খবর দেন।
খবর পেয়ে বাগানে গিয়ে দেখেন দুষ্কৃতিকারীরা প্রায় ৭৫ টি কলার কাঁদি কেটে নষ্ট করে ফেলে রেখেছে। আয়ের একমাত্র সম্বলগুলো এভাবে নষ্ট হতে দেখে এ সময় কান্নায় ফেটে পড়েন তিনি। তিনি বলেন, আমি উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে আক্রান্ত একজন অসুস্থ গরীব কৃষক। আমার স্ত্রী এলার্জি, শ্বাসকষ্ট ও আর্থাইটিস রোগী। দুজনেরই অনেক টাকার ওষুধ লাগে। এখন কিভাবে সংসার চালাবো? ওষুধ কিনব? কিছুই জানিনা।
আমি কারো কোনদিন ক্ষতি করিনি। আমার ক্ষতি কারা করলো তাও জানিনা। এ সময় তিনি দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত আটক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মমিনুজ্জামান বলেন, গরীব কৃষকের এমন ক্ষতি খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫