মোঃ মনোয়ার হোসেনঃ
প্রতারক ও জালিয়াতচক্রের হোতা “গ্রীনপ্লাজা প্রপার্টিজ”এর মালিক মোস্তাফিজুরের বিচার দাবি ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজশাহী মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের রাজশাহী বিভাগীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন।
তিনি উল্লেখ করেন দীর্ঘদিন রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিসরে সক্রিয় ভাবে গণমানুষের অধিকার, গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচারের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছু ব্যক্তি গভীর ষড়যন্ত্র, পরিকল্পিত হয়রানি ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদেরকে রাজনৈতক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে। আর এই ষড়যন্ত্রের মূলহোতা মোস্তাফিজুর রহমান একজন বহু পরিচিত প্রতারক ও অর্থ আত্মসাৎকারী। তিনি সাবেক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও তার স্ত্রী রেনীর ঘনিষ্ঠজন এবং আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিনের আর্থিক পৃষ্ঠপোষক।
তার বিরুদ্ধে বহুগ্রাহকের অর্থ নিয়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তর না করার অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাইনয় রাজশাহী চেম্বার অফ কমার্স কর্তৃক মধ্যস্থতা চেষ্টার পরও প্রতারণামূলক কার্যক্রম অব্যাহত ও রেখেছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রতারণা সংক্রান্ত একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমিনুল ইসলাম বুকিংকৃত অর্থ ফেরত চাইলে বিগত সরকারের সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে হেনস্থা করার চেষ্টা করে এবং হুমকি প্রদান করে। কিন্তু আমিনুল ইসলাম পতিত সরকারের আমলে প্রাণ ভয়ে তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন নি। আমিনুল দীর্ঘদিনে পাওনার টাকা বা ফ্ল্যাট না পেয়ে তার নিকট পরামর্শের জন্য আসেন। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে মোস্তাফিজুর রহমানকে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে এবং আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা বললে, তিনি ব্যাপারটি সমঝোতা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু তার । ২০২৫ সালের শুরু থেকে জুন মাস পর্যন্ত বার বার কিস্তিতে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যেতে থাকেন। প্রতিশ্রুতির উদ্দেশ্য ছিল শুধুমাত্র একটা কৌশলমাত্র। এক পর্যায়ে মোস্তাফিজুর রহমান তার এবং আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এরপর এক সময়ে মোস্তাফিজুরের সাথে আমিনুল ইসলাম নগরীর মালোপাড়ায় দেখা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু মোস্তাফিজও তার সাথে থাকা তাঁতীলীগের সন্ত্রাসী, মোস্তাফিজুর রহমানের কথিত বডিগার্ড, হত্যা মামলার আসামি নাঈম আমিনুল ইসলামকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন।
এ নিয়ে আমিনুল ইসলাম বোয়ালিয়া থানায় একটি জিডি করেন। জিডির খবর পেয়ে মোস্তাফিজ সুর পাল্টে লিখিত ভাবে সমঝোতার জন্য আগ্রহী হন। বিগত ৩০জুন ২০২৫ইং বোয়ালিয়া থানায় উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে একটি আপসনামা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ডিড করা হয়। পুলিশি হস্তক্ষেপ ও সামাজিক চাপের মুখে মোস্তাফিজ নিজেই ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে বোয়ালিয়া থানায় একটি আপসনামা সম্পাদনে সম্মত হন। যেখানে তিনি স্বইচ্ছায় ৩ মাসের মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তর বা ২৭ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর মোস্তাফিজ টাকা বা ফ্ল্যাট কোনটাই হস্তান্তর না কওে বরং উল্টো মামলা দায়ের করেন। এর মুল কারন হচ্ছে তারা যেন কেউ এই আইনি প্রতিকার না পান। মামলায় যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা পুরোপুরি হাস্যকর ও মিথ্যা। মোস্তাফিজকে অপহরণ করে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করা হয়নি। চুক্তি সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে, থানার ভিতরে, সাক্ষীদের উপস্থিতিতে এবং ভিডিও প্রমাণসহ সম্পাদিত হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। তারা সকলেই এই মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানান।
তিনি আরো উল্লেখ করেন চলতি বছরের ৩০জুন মামলাটি করেন তখন ৫ নং আসামি শাহরিয়ার সুজন তখন জেলে ছিলেন। ২২ নং আসামি আরিফুল শেখ বনি রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে একজন জেলে থাকা ব্যক্তি এবং চিকিৎসাধীন রোগী কিভাবে অপহরণে অংশ নিতে পারে? আবারও তিনি এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেইসাথে এই মামলা করার পেছনে কারো ইন্ধন রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে মামলাকারী প্রতারক মোস্তাফিজকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালিায় থানা বিএনপি’র (পশ্চিম) সভাপতি শামসুজ্জামান মিলু, স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী মহানগরের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি ও মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ। এছাড়াও এসময়ে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫