ফিরোজ আলমঃ
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় মাদকের বিস্তার দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজার, জনবসতিপূর্ণ এলাকা এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক অঞ্চলে মাদক কেনাবেচা এবং সেবনের অভিযোগ ক্রমাগত বাড়ছে। ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, মদসহ নানা মাদকদ্রব্য অবাধে হাতবদল হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
৪ নং মৌগাছি এই ইউনিয়নের চাঁদপুর গোপালপুর, বেড়াবাড়ি এবং হরিহরপাড়া এলাকায় কিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা ও গাঁজার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, কিছু কথিত প্রভাবশালী রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকে।
১নং ধুরইল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত একাধিক তরুণ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। গোপনে পল্লী সড়কে মোটরসাইকেলে ইয়াবা সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে।
৫নং বাকশিমইল ইউনিয়নের মোহল্লাপাড়া বাজার ও আশপাশের এলাকায় ফেনসিডিল ও দেশি মদের সরবরাহ বাড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এখানে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হলেও পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠে চক্রটি।
২নং ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের কেশরহাট টু কামারগাঁ রোড ঝাল পুকুর, বেলনা মোড়, ভড় বড়াইল মোড়, আজিজুল হক ইটভাটা মোড়। ভড় বড়াইল পুকুর পাড় হতে শিব নদীর পুলের রাস্তা দিয়ে বেলনা, মেলান্দী, তুলসিক্ষেত্র পর্যন্ত মাদকের জোন, এসব এলাকায় ক্রেতারা মোবাইল ফোন করলে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের নিজস্ব কিশোর গ্যাং দিয়ে চাহিবামাত্র আনায়াসে ক্রেতাদের নিকট হাত বদল হয় বলে স্হানীয়দের অভিযোগ।
কেশরহাট পৌরসভা, বাসস্ট্যান্ড ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রতিনিয়ত মাদক লেনদেন হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিশোর-তরুণরা বেশি আক্রান্ত, ফলে শিক্ষার পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫