ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঘুষে ফায়ার লাইসেন্স, ভুয়া বিলের কারসাজি Logo চরভদ্রাসনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ওয়ালিদ হোসাইন গ্রেপ্তার Logo চরভদ্রাসনে ১৬৫ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার Logo রূপগঞ্জে বিদেশী পিস্তল, গুলি ও নগদ টাকা উদ্ধার Logo তারেক রহমান ও বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে রূপগঞ্জে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে জয়ী ওরা ১১জন মাগুরা Logo রংপুরে সিও বাজারে এলপিজি গ্যাস পাম্পে ভয়াবহ বিস্ফোরণঃ নিহত ১, বহু আহত Logo ফরিদপুরে ড্যাব এর চিকিৎসকদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo গোমস্তাপুরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু Logo শহীদ সাগরের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী আজঃ শোক আর শূণ্যতায় কাতর বাবা-মা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরা ফায়ার সার্ভিসে অনিয়মের কেন্দ্রবিন্দুতে ডিএডি আলী সাজ্জাদ

ঘুষে ফায়ার লাইসেন্স, ভুয়া বিলের কারসাজি

মোঃ রনি আহমেদ রাজুঃ

 

মাগুরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মোঃ আলী সাজ্জাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি চাকরির নীতিমালা লঙ্ঘন করে তিনি নিজ জেলার ঠিকানা গোপন করে চাকরি গ্রহণ করেছেন, ঘুষের বিনিময়ে ফায়ার লাইসেন্স ইস্যু, ভুয়া বিল বানিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, সরকারি সম্পত্তি দখল এবং প্রশাসনিক কাজ পরিচালনায় অদক্ষ জনবল ব্যবহারের মতো গুরুতর দুর্নীতিতে তিনি জড়িত।

 

সরকারি নিয়োগ নীতিতে নিজ জেলায় চাকরি নিরুৎসাহিত হলেও আলী সাজ্জাদ মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার আউনাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হয়েও চাকরির সময় নিজের ঠিকানা দেন পার্শ্ববর্তী জেলা ঝিনাইদহের। পরে সাবেক এমপি ও রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে তিনি নিজ জেলায় বদলি হন এবং তিন বছরের বেশি সময় ধরে এখানেই দায়িত্ব পালন করছেন।

 

ডিএডি আলী সাজ্জাদ মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেকশন রুম—যেখানে পরিদর্শনের সময় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অবস্থান করেন—তা ব্যক্তিগত বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার করছেন। শুধু তাই নয়, কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি সরকারি রুম দীর্ঘদিন ধরে দখল করে সেখানে তার স্ত্রী ও সন্তানদের বসবাস করাচ্ছেন, যদিও তার স্ত্রী কুষ্টিয়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে কর্মরত।

 

অফিস সহকারী মুনসুর আহমেদ দীর্ঘদিন পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হলেও তার নামে নিয়মিত বেতন উত্তোলন হচ্ছে, যা থেকে একটি অংশ আলী সাজ্জাদ গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাকে বিনিময়ে বাড়িতে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

 

এছাড়া, অফিসে নতুন আসবাবপত্র কেনার জন্য সরকারি বাজেট থাকা সত্ত্বেও পুরাতন আসবাবপত্র যশোর অফিস থেকে এনে স্থাপন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

 

উচ্চমান সহকারী তানহা তাহেরা ও এহসানকে সরিয়ে দিয়ে ফায়ারম্যান পদমর্যাদার মুরশিদ ও হুরায়রাকে দিয়ে অফিসের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তাদের মাধ্যমে খেলাধুলা, ফেস্টুন ছাপানো ও তেলের নামে লক্ষাধিক টাকার ভুয়া বিল বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে।

 

বহুতল ভবনের জন্য ফায়ার লাইসেন্স নিতে গেলে প্রতিটি ফাইল বাবদ মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয় বলে একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন। এমনকি সরেজমিন পরিদর্শন ছাড়াই এমন অনেক ভবন যাদের সামনে ৫-১০ ফুটেরও রাস্তা নেই তাদেরও লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে।

 

ডিএডি আলী সাজ্জাদের বিরুদ্ধে পূর্বে খুলনার সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ তদন্ত করেন, কিন্তু তা ধামাচাপা পড়ে যায়। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকেই বদলি করা হয়। সম্প্রতি আবারো ঢাকা সদর দপ্তরের স্টেশন অফিসার তালহাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি মাগুরা না এসে ঢাকায় বসেই তদন্ত শেষ করেন। ফলে এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

 

গত এক মাসে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মাগুরা ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত এক নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে সহকারী পরিচালক মাসুদ সরদারের বিরুদ্ধে। সেই নারীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কুষ্টিয়ায় বদলি করা হয়। পরবর্তীতে তার জায়গায় উপজেলা থেকে নিজেদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে আনা হয়।

 

ফায়ার ফাইটার আলী হাসান ও লিডার আলেফ মোল্লার বিরুদ্ধেও ভুয়া ঠিকানা ও শিক্ষা সনদ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। আলী হাসান প্রকৃতপক্ষে মাগুরার হলেও চাকরির সময় ভোলার ঠিকানা ব্যবহার করেন। তিনি আগুন নির্বাপক যন্ত্র জোর করে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

দুপুরে বাংলাদেশ জাসদের মাগুরা জেলা সভাপতি মহাব্বত আলী বলেন, “মাগুরা ফায়ার সার্ভিসে পরিচয় গোপন করে চাকরি নেয়া, ভুয়া বিল-ভাউচার—নানান বিষয় আমরা অবগত হয়েছি। আমরা অচিরেই মাগুরা চৌরঙ্গি মোড়ে একটি মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করব। কেন বারবার তদন্তের কথা বলা হলোও তদন্ত করে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? ফায়ার সার্ভিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির কোনো জায়গা নেই। আলী সাজ্জাদসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”

 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, “মাগুরার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

তবে এ বিষয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম জানান, “বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। লিখিতভাবে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

তবে অভিযুক্তদের বিষয়ে দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা বক্তব্য চাইতে গেলে একাধিকবার চাওয়া হলেও তারা কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।

 

সরকারি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে চলমান এ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি কেবল একজন কর্মকর্তার অপসারণেই শেষ হওয়া উচিত নয়। এটি গোটা ব্যবস্থাপনাগত সংস্কারের দাবি তোলে। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে তাদের চাকরিচ্যুত করা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অনিয়মের সাহস না পায়।

 

এ বিষয়ে মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মোঃ আলী সাজ্জাদ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অনিয়ম ও দুর্নীতি—এগুলো সবই মিথ্যা।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঘুষে ফায়ার লাইসেন্স, ভুয়া বিলের কারসাজি

error: Content is protected !!

মাগুরা ফায়ার সার্ভিসে অনিয়মের কেন্দ্রবিন্দুতে ডিএডি আলী সাজ্জাদ

ঘুষে ফায়ার লাইসেন্স, ভুয়া বিলের কারসাজি

আপডেট টাইম : ৪ ঘন্টা আগে
মো: রনি আহমেদ রাজু, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :

মোঃ রনি আহমেদ রাজুঃ

 

মাগুরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মোঃ আলী সাজ্জাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি চাকরির নীতিমালা লঙ্ঘন করে তিনি নিজ জেলার ঠিকানা গোপন করে চাকরি গ্রহণ করেছেন, ঘুষের বিনিময়ে ফায়ার লাইসেন্স ইস্যু, ভুয়া বিল বানিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, সরকারি সম্পত্তি দখল এবং প্রশাসনিক কাজ পরিচালনায় অদক্ষ জনবল ব্যবহারের মতো গুরুতর দুর্নীতিতে তিনি জড়িত।

 

সরকারি নিয়োগ নীতিতে নিজ জেলায় চাকরি নিরুৎসাহিত হলেও আলী সাজ্জাদ মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার আউনাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হয়েও চাকরির সময় নিজের ঠিকানা দেন পার্শ্ববর্তী জেলা ঝিনাইদহের। পরে সাবেক এমপি ও রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে তিনি নিজ জেলায় বদলি হন এবং তিন বছরের বেশি সময় ধরে এখানেই দায়িত্ব পালন করছেন।

 

ডিএডি আলী সাজ্জাদ মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেকশন রুম—যেখানে পরিদর্শনের সময় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অবস্থান করেন—তা ব্যক্তিগত বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার করছেন। শুধু তাই নয়, কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি সরকারি রুম দীর্ঘদিন ধরে দখল করে সেখানে তার স্ত্রী ও সন্তানদের বসবাস করাচ্ছেন, যদিও তার স্ত্রী কুষ্টিয়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে কর্মরত।

 

অফিস সহকারী মুনসুর আহমেদ দীর্ঘদিন পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হলেও তার নামে নিয়মিত বেতন উত্তোলন হচ্ছে, যা থেকে একটি অংশ আলী সাজ্জাদ গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাকে বিনিময়ে বাড়িতে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

 

এছাড়া, অফিসে নতুন আসবাবপত্র কেনার জন্য সরকারি বাজেট থাকা সত্ত্বেও পুরাতন আসবাবপত্র যশোর অফিস থেকে এনে স্থাপন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

 

উচ্চমান সহকারী তানহা তাহেরা ও এহসানকে সরিয়ে দিয়ে ফায়ারম্যান পদমর্যাদার মুরশিদ ও হুরায়রাকে দিয়ে অফিসের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তাদের মাধ্যমে খেলাধুলা, ফেস্টুন ছাপানো ও তেলের নামে লক্ষাধিক টাকার ভুয়া বিল বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে।

 

বহুতল ভবনের জন্য ফায়ার লাইসেন্স নিতে গেলে প্রতিটি ফাইল বাবদ মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয় বলে একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন। এমনকি সরেজমিন পরিদর্শন ছাড়াই এমন অনেক ভবন যাদের সামনে ৫-১০ ফুটেরও রাস্তা নেই তাদেরও লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে।

 

ডিএডি আলী সাজ্জাদের বিরুদ্ধে পূর্বে খুলনার সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ তদন্ত করেন, কিন্তু তা ধামাচাপা পড়ে যায়। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকেই বদলি করা হয়। সম্প্রতি আবারো ঢাকা সদর দপ্তরের স্টেশন অফিসার তালহাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি মাগুরা না এসে ঢাকায় বসেই তদন্ত শেষ করেন। ফলে এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

 

গত এক মাসে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মাগুরা ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত এক নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে সহকারী পরিচালক মাসুদ সরদারের বিরুদ্ধে। সেই নারীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কুষ্টিয়ায় বদলি করা হয়। পরবর্তীতে তার জায়গায় উপজেলা থেকে নিজেদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে আনা হয়।

 

ফায়ার ফাইটার আলী হাসান ও লিডার আলেফ মোল্লার বিরুদ্ধেও ভুয়া ঠিকানা ও শিক্ষা সনদ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। আলী হাসান প্রকৃতপক্ষে মাগুরার হলেও চাকরির সময় ভোলার ঠিকানা ব্যবহার করেন। তিনি আগুন নির্বাপক যন্ত্র জোর করে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

দুপুরে বাংলাদেশ জাসদের মাগুরা জেলা সভাপতি মহাব্বত আলী বলেন, “মাগুরা ফায়ার সার্ভিসে পরিচয় গোপন করে চাকরি নেয়া, ভুয়া বিল-ভাউচার—নানান বিষয় আমরা অবগত হয়েছি। আমরা অচিরেই মাগুরা চৌরঙ্গি মোড়ে একটি মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করব। কেন বারবার তদন্তের কথা বলা হলোও তদন্ত করে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? ফায়ার সার্ভিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির কোনো জায়গা নেই। আলী সাজ্জাদসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”

 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, “মাগুরার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

তবে এ বিষয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম জানান, “বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। লিখিতভাবে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

তবে অভিযুক্তদের বিষয়ে দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা বক্তব্য চাইতে গেলে একাধিকবার চাওয়া হলেও তারা কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।

 

সরকারি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে চলমান এ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি কেবল একজন কর্মকর্তার অপসারণেই শেষ হওয়া উচিত নয়। এটি গোটা ব্যবস্থাপনাগত সংস্কারের দাবি তোলে। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে তাদের চাকরিচ্যুত করা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অনিয়মের সাহস না পায়।

 

এ বিষয়ে মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মোঃ আলী সাজ্জাদ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অনিয়ম ও দুর্নীতি—এগুলো সবই মিথ্যা।”


প্রিন্ট