মুরাদ হোসেনঃ
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চলতি বছরে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় মোট অংশ নেন দুই হাজার আটশ বত্রিশ জন শিক্ষার্থী। বিগত বছরের তুলনায় এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার কম। এই ফলাফলে খুব একটা খুশি হতে পারছেন না অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। তবে করোনা পরিস্থিতিতে গত পাঁচ বছরের শিক্ষাজীবনে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ক্লাস পেয়েছে কম, প্রশ্ন কঠিন হওয়ায় গণিতে পাসের হার কম, গত বছরের চেয়ে চলতি বছরের উত্তরপত্র মূল্যায়ন কড়াকড়ি ছিল। এই তিনটি কারণে গত বছর থেকে চলতি বছরের রেজাল্ট সারাদেশেই খারাপ হয়েছে বলে জানাগেছে।
বিগত বছরের থেকে চলতি বছরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কিছুটা সময় আগে এবং সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে অনুযায়ী এ উপজেলায় চলতি বছরে মাধ্যমিক পর্যায়ে চারটি কেন্দ্রে এসএসসিতে ২ হাজার ৩শ ৬১জন এবং দাখিল পর্যায়ে দুইটি কেন্দ্রে ৪শ ৭১জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ হাজার ৬শ ৯৭জন। তবে এ বছরের রেজাল্টে খুশি নয় অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আবার অনেকেই ধারণা করছেন, যাদের প্রস্তুতির ভালো ছিলো, তাদের রিজাল্ট ভালো হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্র মতে, মহম্মদপুর আর এস কে এইচ ইনস্টিটিউশন, বিনোদপুর বি.কে, বাবুখালী আফতাব উদ্দিন এবং নহাটা আর.পি.পি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ এই চারটি কেন্দ্রে অংশগ্রহন করে দুই হাজার তিনশ একষাট্রি জন শিক্ষার্থী। এছাড়াও মহম্মদপুর বড়রিয়া এ ডাব্লিউ ফাজিল মাদ্রাসা ও ঝামা ফাজিল মাদ্রাসায় দাখিল পর্যায়ে এই দু’টি কেন্দ্রে চারশ একাত্তুর জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
চলতি বছরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট দুই হাজার আটশ বত্রিশ জন। পাশ করেছে এক হাজার ছয়শ সাতানব্বাই জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে একশ তেরো জন। পাসের হার ৫৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। বাকীরা ফেল করেছে। তবে জিপিএ-৫ ও পাসের হার গত বছরের তুলনায় এ বছরে খুবই কম।
সুত্র আরো জানায়, মাধ্যমিক পর্যায়ে ২ হাজার ১শ ১২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ২শ ২৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১শ ৭জন। দাখিল পর্যায়ে ৪শ ৭১ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩শ ২৯জন, ৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে এবং কারিগরিতে ২শ ৪৯জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১শ ৪১ জন। তবে স্কুল পর্যায়ে সবচেয়ে বেশী পরীক্ষার্থী ও প্লাস পাওয়ার সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে সরকারি আর এস কে এইচ ইনস্টিটিউশন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়। মোট পরীক্ষার্থী ১৩৭জন পাস- ১১৭জন এবং প্লাসের সংখ্যা ৩২ জন।
সরকারি আর এস কে এইচ ইনস্টিটিউশন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন শাহীন বলেন, প্রস্তুতি ভালো হলে ফলাফল ভালো হবে এটায় স্বাভাবিক। এই কড়াকড়ির মধ্যেও আমাদের ছেলে-মেয়েরা ভালো করেছে এবং প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষা করেছে এ জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানায়।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, এই উপজেলার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রতিটি কেন্দ্রে কর্তব্যরত কর্মকর্তারা সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে শিক্ষার্থীরা গত পাঁচ বছরে বিদ্যালয়ে ক্লাস পেয়েছে কম, প্রশ্ন কঠিন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন কড়াকড়ি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছরে পাসের হার কম এবং জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও কমেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫