আব্দুল হামিদ মিঞাঃ
রাজশাহীর বাঘায় নিয়োগ জালিয়াতির মামলায় আব্দুল গণি কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম ও শিক্ষক প্রতিনিধিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহসপতিবার (১০-০৭-২০২৫) বিজ্ঞ আইনজীবির মাধ্যমে রাজশাহীর অতিরিক্ত দায়রা জজ ৩ এর আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। (জি আর মামলা নং- ১২৮/২০২৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট কাউসার আলী।
জানা যায়,গত ৫ মে’২৫ উপজেলার সরেরহাট গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ বাদী হয়ে টেম্পারিং করে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে বাঘা থানায় ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের করেন। (বাঘা থানার মামলা নং-৯ তাং-০৮-০৫-২০২৫ ইং)। মামলায় আসামী করা হয়- কলেজটির গর্ভনিং বডির সভাপতি শাহিনুর রহমান ওরফে বিপ্লব, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম ও শিক্ষক প্রতিনিধি আলমাস হোসেনসহ অজ্ঞাত ৪/৫জনকে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে গর্ভনিং বডির সভাপতি স্বাক্ষরিত গত ১৬ই মার্চ মানবজমিন, জাতীয় অর্থনীতি এবং দৈনিক রাজশাহী পত্রিকায় 'ল্যাব সহকারী পদে ৪ জন সহ মোট ৮ টি পদে ১০ জন জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ৮ টি পদের বিপরিতে ২১ জন প্রার্থী আবেদন করেন। আবেদনের শেষ তারিখ দেখানো হয় ৩০ই মার্চ। নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা প্রশাসক এবং ডিজির প্রতিনিধির জন্য আবেদন করা হয় ২৭শে এপ্রিল।
কিন্তু ১৬ মার্চ মানবজমিন পত্রিকায় ২২ নম্বর পৃষ্ঠায় নেত্রকোনার যুগ্ম জেলা জজ ও অর্থঋণ আদালতের নিলাম বিজ্ঞপ্তির স্থানে টেম্পারিং করে আব্দুল গণি কলেজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখানো হয়।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়ার দাবি করা হলেও এলাকার সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্কুল ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের সদস্যরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মানবজমিন পত্রিকায় চলতি বছরের ১৬ মার্চ আব্দুল গণি কলেজের কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপানো হয়নি, ওই তারিখে মানবজমিন পত্রিকার ২২ নম্বর পৃষ্ঠায় নেত্রকোনার যুগ্ম জেলা জজ ও অর্থঋণ আদালতের নিলাম বিজ্ঞপ্তির স্থানে টেম্পারিং করে কলেজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপানো হয়। এছাড়াও জাতীয় অর্থনীতি ও দৈনিক রাজশাহী পত্রিকায় ১৬ মার্চ আব্দুল গণি কলেজের নিয়োগের কোনো বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
স্কুল ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি সোহানুল ইসলাম মিঠু জানান , জাল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি খাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে প্রতারনা মূলকভাবে ৮টি পদে নিজেদের লোক নিয়োগের চেষ্টা করে। মামলার পরে নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়।
তিনি বলেন,‘জুলাই আগষ্ট বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কোথায় কোনো প্রকার অন্যায়, অবিচার ঘুষ দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না। তাই জালিয়াতি ও অবৈধ নিয়োগ বন্ধে মামলা করা হয়েছে।
বাঘা থানার ওসি আফম আছাদুজ্জামান বলেন, মামলা দায়েরের পর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, কলেজের বিষয়ে অবগত হয়েছি। যা আইনগতভাবে চলবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫