মোঃ আলম মৃধাঃ
নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিসপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের (সোনাতলা) জনপ্রিয় মেম্বার খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে গত ১৫ বছরে একে একে ১৯টি মামলা করা হয়েছে—যার অধিকাংশই স্থানীয়দের ভাষায় ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’। এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করেন, রাজনৈতিক পরিচয় ও সামাজিক অবস্থানের কারণেই তিনি একের পর এক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
খলিল সোনাতলা গ্রামের মরহুম রফিক মুন্সির সন্তান। পরিবারটি বহু প্রজন্ম ধরে এলাকায় সম্মানিত ও গ্রহণযোগ্য হিসেবে পরিচিত। তার বড় ভাই, মৃত ওমর ফারুক, চিনিসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এই পরিবারটির বিএনপি ঘরানার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা ও খলিলের দৃঢ় সামাজিক অবস্থানই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ আমলে প্রভাবশালী একটি পক্ষ বারবার খলিলকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালায়। তার বিরুদ্ধে একের পর এক মাদক, চুরি, ডাকাতি ও সন্ত্রাসবাদের মামলা দায়ের করা হয়। অথচ এলাকাবাসীর চোখে তিনি বরাবরই অপরাধ ও দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার এক সাহসী ব্যক্তি।
খলিল নিজেও অভিযোগ করে বলেন, “আমি সবসময় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, প্রতিবাদ করেছি। আর এ কারণেই আমাকে বারবার ফাঁসানো হয়েছে। নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি লিমন ও শিবলুর নেতৃত্বে সোনাতলা প্রাইমারি স্কুলের সামনে মাদকের স্পট করতে গেলে আমি সহ এলাকাবাসী বাধা হয়ে দাঁড়াই। এই কারণে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা একবার আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়, এখনও মাথায় ও পিঠে সেই আঘাতের চিহ্ন রয়ে গেছে। কিন্তু আমি দমে যাইনি।”
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা ও নরসিংদী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া খলিলের এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালান। খলিল এতে বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে মামলা, হামলা ও character assassination শুরু হয়।
আজ পর্যন্ত দায়ের করা ১৯টি মামলার মধ্যে প্রায় ১৫টিরই খালাস পেয়েছেন খলিল। বর্তমানে ৪টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
সম্প্রতি কিছু তথাকথিত সাবেক পলাতক নরসিংদী সদরের এমপি হিরোর সহচর সাংবাদিক খলিলের বিরুদ্ধে ফেসবুক ও অনলাইন পোর্টালে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খলিল বলেন,
“যে লোক আগে তরোয়া কাবুল শাহ মাজারে বসে বড়ি বিক্রি করত, সে এখন সাংবাদিক পরিচয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ওই সাংবাদিক আওয়ামী লীগের দোসর। তার সাথে আরো কিছু যোগ হয়েছে। আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।” আমার উপর হামলার পর পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানালে , ওসির পরামর্শে হিরোর সাথে দেখা করে ছাত্রলীগের বিষয়ে অভিযোগ করতে যাই । সেই ছবি দিয়ে আমাকে আওয়ামী লীগ সাজানো হচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগের লোক হলে আওয়ামী লীগের আমলে আমার উপর হামলা কেন? আমার বিরুদ্ধে ১৯ টি মামলা কেন?
তিনি আরও বলেন, “আমি বিএনপি পরিবারের সন্তান—এই পরিচয়ই যেন আমার একমাত্র অপরাধ। কিন্তু যত অপপ্রচারই হোক, আমি জনগণের সেবক হিসেবেই পাশে থাকব।”
খলিলের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর ন্যায়বিচার দাবি করে এলাকাবাসীর একটি বড় অংশও বলছে, একজন জনপ্রিয় নির্বাচিত প্রতিনিধি—যিনি সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলেন, অসহায়দের পাশে দাঁড়ান—তার সঙ্গে এমন আচরণ কখনোই কাম্য নয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫