মুন্সী সাদেকুর রহমান শাহীনঃ
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর-নিজড়া সড়কের মরা গাছ এখন মরণ ফাঁদে রুপান্তর হয়েছে। কতৃপক্ষের উদাসীনতা ও নজরদারি না থাকায় প্রয় দুই বছর ধরে সড়কটিতে গাছ মরে, ডাল ভেঙ্গে পড়ে প্রতিনিয়ত পথচারীদের দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর-নিজড়া হয়ে কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া বাজারে মিশেছে। প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে হাজার হাজার মানুষ ও শত শত ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে।
ইতিপূর্বে সড়কটিতে গাছ ভেঙ্গে পড়ে অনেক যানবাহন ও পথচারী মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও মরা গাছের দোহাই দিয়ে সরকারী এই মূল্যবান গাছ এলাকার অসাধুচক্র কেটে বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে এই মরা গাছের মরণ ফাঁদ থেকে প্রতিকার পেতে উলপুর ও নিজড়া গ্ৰামের সচেতন মানুষ একাধিকবার উপজেলা এলজিইডি দপ্তর, উলপুর ও নিজড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহিত করলেও এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
উলিপুর-নিজড়া সড়কের আটো চালক কিরামত মোল্লা, হাফিজ উকিল, কাদের মিনা ও নিজাম শেখ দৈনিক সময়ের প্রত্যাশাকে বলেন, আমরা যাত্রীদের নিয়ে এই রাস্তায় গাড়ি চালাতে ভয় পাই, কারন মাথার ওপর বড় বড় মরা গাছের ডাল ঝুলে আছে। কখন ভেঙ্গে পড়ে ভয়ে ভয়ে থাকি। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণ করা।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে নিজড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ধলু মিনার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন ঘুমাচ্ছি পরে কথা বলবো।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত এক বছর পূর্বে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে আমরা মার্কিং করে ফরিদপুর আঞ্চলিক বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেরণ করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় বছর পেরিয়ে গেলেও অজানা কারনে এখন পর্যন্ত টেন্ডার আহ্বান করার অনুমোদন পাইনি। আমরা আইনের কাছে নিরুপায়। ইচ্ছা থাকলেও আমরা জনদুর্ভোগ লাঘব করতে পারছি না।
গোপালগঞ্জ জেলা বন কর্মকর্তা বিবেক আনন্দ মল্লিক জানান, আমার জানামতে এলজিইডি দপ্তর যখন মূল্য নির্ধারণ সহ গাছ কর্তনের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে তার পর থেকেই পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গাছ কাটার অনুমতি প্রদান বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার এম. রকিবুল হাসান দৈনিক সময়ের প্রত্যাশাকে বলেন, আমি এই উপজেলার নিবার্হী অফিসারের দ্বায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই এই সমস্যাটি তৌরি হয়েছে। জেনেছি মূল্য নির্ধারণ সহ গাছ কর্তনের অনুমোদনের আবেদন পত্রটি ফরিদপুর আঞ্চলিক বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গোপালগঞ্জের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মহোদয় যথেষ্ট সোচ্চার। সড়কটিতে চলাচলকারী পথচারীদের ঝুঁকি ও এলাকার সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে স্যারের নির্দেশে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি খুব দ্রুত তম সময়ের মধ্যে জনভোগান্তি দূর করতে সক্ষম হব।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫