চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা চৌডালা ইউনিয়নের সোনারপাড়া গ্রামের ফরমান আলির ছেলে আঃরাহিম (২৮) এক বছর যাবত কিডনি জনিতো রোগে ভুগছেন। তার দুইটি কিডনিই নষ্ট হয়েগেছে। তার দুইটি শিশু সন্তান আছে। যার বয়স ৬/৮ চিকিৎসার জন্য খেটে খাওয়া যে সম্বল টুকু ছিল তা হারিয়ে ফেলেছেন চিকিৎসার জন্য। এখন ভিটেমাটি ছাড়া আর কোনো তার সম্বল নেই।
কিডনি নষ্ট হওয়া আঃ রহিমের পিতা ফরমান আলী বলেন, আমার যা ছিলো সব কিছু আমার ছেলে চিকিৎসার জন্য শেষ করে ফেলেছি। এখন ভিটেমাটি ছাড়া আর কোন সম্বল নেই। তিনি আরও জানান আমার ছেলে এক বছর আগে শরীরটা হঠাৎ ফুলে যায় তারপর বিভিন্ন জায়গায় যায় রহনপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী নিয়ে যায় অনেক পরিক্ষা নিরিক্ষার পর জানা গেল তার দুইটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। আমার ছেলের তার সমস্ত শরীর ফুলে যায় ।
তার এই অসুখ দেখে আমরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসা করাতে। সেখানে বিভিন্ন মেডিকেল টেস্ট করে জানতে পারি তার দুইটি কিডনি নষ্ট বলে চিকিৎসকরা জানায়। কিডনি ছাড়া তাকে বাচানো সম্ভব নয়। কেউ যদি একটি কিডনি দেই তাহলে সে কোন রকমে সেই শিশু দুইটি নিয়ে দিন যাপন করতে পারবে। একটি কিডনি স্থাপন করতে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা লাগবে। কিন্তু আমি পিতা, আমি তো আর থেমে থাকতে পারিনা।
সন্তানের আর্তনাদ শুনে তার চিকিৎসার জন্য দ্বারে-দ্বারে, পথে পথে ঘুরতেছি। সে স্বাভাবিক ভাবে খেতে পারছেনা গত ৩মাস থেকে। ৪মাস সে আরও অবনত হতে আছে। আমার এই ছেলে গ্রামীন এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছে। আমিতো দিন আনি দিন খাই, আমি একজন কৃষক তা দিয়ে আমার সংসার চালায় ও ছেলের চিকিৎসা করায়। আমি যখন খরচ করতে পারছিলাম না । ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান এর কাছে হাত পেতেও কোনো সাড়া পাইনি। কি করে আমি এই খরচ চালাবো? সেই দুশ্চিন্তায় আমার ঘুম আসছেনা।
এ বিষয়ে কিডনি নষ্ট হওয়া ছেলের মা কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, হামার ২টি বেটা শাহিন ও রাহিম তাকে খুব আদর করে মানুষ করেছি। কি গোনেযে আল্লাহ আমাকে এতো বড় শাস্তি দিল। আমি কি আর করবো। আমি বেটার লাগিয়ে- ভালো করিয়া ঘুমাইতে পারি না। রুম থেকে ছেলেকে বাইরে নিয়ে এসে প্রতিবেদকের সামনে বসে। প্রতিবেদকের কণ্ঠ শুনে রাহিম বলে, কে এসেছে গে মা? মা বলে সাংবাদিক এসেছে বেটা তোকে দেখতে। সাংবাদিকরা কি করে গে মা? বলে সাংবাদিক পেপার লেখে। তোর ছবি তুলে পেপারে দিবে তাই। ছবি তোলে আবার কি হবে বলে তোমার চিকিৎসা করার জন্য যদি কেউ সাহায্য করে। সে বলে তাহলে তুলুক ছবি।
ছবি তুলে প্রতিবেদকের সাথে কথা বলে রাহিম এবং তার কথা শুনে প্রতিবেদক কান্নায় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে। আপনারা আমাদের মাধ্যমে অথবা সরাসরি তাদের সাহায্য করতে পারেন। আমাদের মাধ্যমে করলে আমরা আপনার দানকৃত অর্থ সহ আপনাকে পেইজের মাধ্যমে প্রকাশ করবো। আর্থিক সাহায্য করতে যোগাযোগ করুন - নামঃ মোঃআঃ রাহিম মোবাইল নম্বরঃ 01309504326, 01780987442 (বিকাশ)
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha