ইসমাইল হোসেন বাবুঃ
কুষ্টিয়া কালিশংকরপুর বাঁধন ছাত্রাবাসে মধ্যরাতে ঘুমের মধ্যে অস্বাভাবিক চিৎকারের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ১৭ জুন দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, কুষ্টিয়া দর্পণ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেডিকেলের ১ম বর্ষের ছাত্র লুবাব (২০) ও অনিক (১৯) নামের দুইজন ছাত্র কুষ্টিয়া কালিশংকরপুর বাঁধন ছাত্রাবাসে একটি রুমে থাকে। প্রতিদিনের মতো রাত ১১টার দিকে তারা দুজন ঘুমিয়ে পড়ে। এদিকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাঁধনের এক অস্বাভাবিক চিৎকারে অনিকের ঘুম ভেঙে যায়। অনিক লুবাবকে ডাকতে থাকলে সে কোনো উত্তর না দিলে এবং অস্বাভাবিক অঙ্গভঙ্গি করতে থাকলে অনিক খুব ভয় পেয়ে যায়। পরে হোস্টেলে থাকা অন্যদের ডেকে তোলে। তাৎক্ষণিক সবাই মিলে লুবাবের মাথায় পানি দেয়, তারপরেও স্বাভাবিক হওয়ার কোনো লক্ষণ না দেখলে কয়েকজন মিলে দ্রুত কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে হাসপাতালের স্লিপে "সায়ানোজড শরীর" উল্লেখ করা হয়েছে। বাঁধন ইসলাম ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপা থানার খন্দকবাড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পুলিশের তথ্য মতে, বাঁধনের শরীরে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে এটি কী ধরনের মৃত্যু—তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা।
এদিকে স্থানীয়দের মতে, এর আগেও কালিশংকরপুরের কিছু ছাত্রাবাসে "কালো ছায়ার" চলাফেরা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। এই মৃত্যু নিয়ে চলছে এখন নানা আলোচনা ও চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ। অনেকেই বলছেন, এটি জ্বীন-ভূতের আছড় হতে পারে। ফলে এই মৃত্যুর খবরে কালিশংকরপুরের ছাত্রাবাসগুলোতে জ্বীন-ভূতের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫