ঢাকা , সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পার্বতীপুরে মাদ্রসার ৪ একর জায়গা জবরদখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo শার্শায় শিয়াল মারার ফাঁদে কৃষকের মৃত্যু    Logo তানোরে একতা যুব সংঘের নিজস্ব অর্থায়নে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন Logo ফরিদপুর পাসপোর্ট অফিসে ৩ জন রোহিঙ্গা ও ২ জন দালাল আটক Logo দুর্নীতিবাজ-মাফিয়াদের রাজনীতি চাই না”— ঝালকাঠিতে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ঘোষণা Logo কুষ্টিয়ায় পাউবোর কোটি টাকার তেল চুরির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছেলের বউকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেফতার Logo ঠাকুরগাঁওয়ে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে ৩ বিষয়ে ফেল Logo কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অস্ত্র-মাদকসহ আটক ১ Logo কুষ্টিয়া পৌরসভার গেটে আবর্জনা ফেলে কর্মবিরতিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়া ছাত্রাবাসে এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

ইসমাইল হোসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়া কালিশংকরপুর বাঁধন ছাত্রাবাসে মধ্যরাতে ঘুমের মধ্যে অস্বাভাবিক চিৎকারের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ১৭ জুন দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয়রা জানান, কুষ্টিয়া দর্পণ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেডিকেলের ১ম বর্ষের ছাত্র লুবাব (২০) ও অনিক (১৯) নামের দুইজন ছাত্র কুষ্টিয়া কালিশংকরপুর বাঁধন ছাত্রাবাসে একটি রুমে থাকে। প্রতিদিনের মতো রাত ১১টার দিকে তারা দুজন ঘুমিয়ে পড়ে। এদিকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাঁধনের এক অস্বাভাবিক চিৎকারে অনিকের ঘুম ভেঙে যায়। অনিক লুবাবকে ডাকতে থাকলে সে কোনো উত্তর না দিলে এবং অস্বাভাবিক অঙ্গভঙ্গি করতে থাকলে অনিক খুব ভয় পেয়ে যায়। পরে হোস্টেলে থাকা অন্যদের ডেকে তোলে। তাৎক্ষণিক সবাই মিলে লুবাবের মাথায় পানি দেয়, তারপরেও স্বাভাবিক হওয়ার কোনো লক্ষণ না দেখলে কয়েকজন মিলে দ্রুত কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

 

হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে হাসপাতালের স্লিপে “সায়ানোজড শরীর” উল্লেখ করা হয়েছে। বাঁধন ইসলাম ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপা থানার খন্দকবাড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে।

 

এ বিষয়ে পুলিশের তথ্য মতে, বাঁধনের শরীরে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে এটি কী ধরনের মৃত্যু—তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা।

 

এদিকে স্থানীয়দের মতে, এর আগেও কালিশংকরপুরের কিছু ছাত্রাবাসে “কালো ছায়ার” চলাফেরা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। এই মৃত্যু নিয়ে চলছে এখন নানা আলোচনা ও চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ। অনেকেই বলছেন, এটি জ্বীন-ভূতের আছড় হতে পারে। ফলে এই মৃত্যুর খবরে কালিশংকরপুরের ছাত্রাবাসগুলোতে জ্বীন-ভূতের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পার্বতীপুরে মাদ্রসার ৪ একর জায়গা জবরদখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়া ছাত্রাবাসে এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

আপডেট টাইম : ০৭:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
ইসমাইল হােসেন বাবু, সিনিয়র ষ্টাফ রিপাের্টার :

ইসমাইল হোসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়া কালিশংকরপুর বাঁধন ছাত্রাবাসে মধ্যরাতে ঘুমের মধ্যে অস্বাভাবিক চিৎকারের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ১৭ জুন দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয়রা জানান, কুষ্টিয়া দর্পণ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেডিকেলের ১ম বর্ষের ছাত্র লুবাব (২০) ও অনিক (১৯) নামের দুইজন ছাত্র কুষ্টিয়া কালিশংকরপুর বাঁধন ছাত্রাবাসে একটি রুমে থাকে। প্রতিদিনের মতো রাত ১১টার দিকে তারা দুজন ঘুমিয়ে পড়ে। এদিকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাঁধনের এক অস্বাভাবিক চিৎকারে অনিকের ঘুম ভেঙে যায়। অনিক লুবাবকে ডাকতে থাকলে সে কোনো উত্তর না দিলে এবং অস্বাভাবিক অঙ্গভঙ্গি করতে থাকলে অনিক খুব ভয় পেয়ে যায়। পরে হোস্টেলে থাকা অন্যদের ডেকে তোলে। তাৎক্ষণিক সবাই মিলে লুবাবের মাথায় পানি দেয়, তারপরেও স্বাভাবিক হওয়ার কোনো লক্ষণ না দেখলে কয়েকজন মিলে দ্রুত কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

 

হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে হাসপাতালের স্লিপে “সায়ানোজড শরীর” উল্লেখ করা হয়েছে। বাঁধন ইসলাম ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপা থানার খন্দকবাড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে।

 

এ বিষয়ে পুলিশের তথ্য মতে, বাঁধনের শরীরে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে এটি কী ধরনের মৃত্যু—তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা।

 

এদিকে স্থানীয়দের মতে, এর আগেও কালিশংকরপুরের কিছু ছাত্রাবাসে “কালো ছায়ার” চলাফেরা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। এই মৃত্যু নিয়ে চলছে এখন নানা আলোচনা ও চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ। অনেকেই বলছেন, এটি জ্বীন-ভূতের আছড় হতে পারে। ফলে এই মৃত্যুর খবরে কালিশংকরপুরের ছাত্রাবাসগুলোতে জ্বীন-ভূতের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।


প্রিন্ট