মো: হানিফ উদ্দিন সাকিবঃ
রাজনৈতিকভাবে ঢাকায় অবস্থান করলেও নোয়াখালীর হাতিয়ায় তেমন সক্রিয় ছিলেন না তিনি। স্থানীয় রাজনীতিতে নেই সরব উপস্থিতি, গ্রুপিংনির্ভর রাজনীতিতেও তার নাম সচরাচর শোনা যায় না। এমনকি উপজেলা কমিটিতে থাকা না থাকা নিয়েও ছিল না কোনো তৎপরতা। তবে ঈদুল আজহার পর হঠাৎ মাঠে সরব উপস্থিতি দেখিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা শাহনেওয়াজ। গত সপ্তাহে তিনটি ইউনিয়নের পাঁচটি বাজারে তিনি পথসভা করেন, যেখানে ছিল ব্যাপক জনসমাগম। এই উপস্থিতিই তাকে আবার আলোচনায় নিয়ে এসেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীর বাড়ি হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নে। তার পিতা মাওলানা আব্দুল হাই ছিলেন দুইবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান। ২০০৩ সাল থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত শাহনেওয়াজ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। সরকারবিরোধী আন্দোলনে তিনি ছিলেন প্রথম সারির একজন নেতা। দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। এজন্য এলাকাবাসীর সঙ্গে তার নিবিড় যোগাযোগ ছিল।
প্রতিদিন বিকেলে স্থানীয় লোকজন নিয়ে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন গ্রামে গ্রামে, বাজারে বাজারে। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন সরাসরি। এর মধ্যেই তিনি জাহাজমারা সেন্টার বাজার, সোনাদিয়া মাইজদী বাজার ও চরকিং ভৈরব বাজারে পথসভা করেছেন। প্রতিটি পথসভায় একমাত্র বক্তা ছিলেন শাহনেওয়াজ নিজেই। তার সঙ্গী সৈকত জানান, এসব পথসভার কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না। বাজারে শাহনেওয়াজ আসছেন—এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে লোকজন চারদিক থেকে এসে জড়ো হতো, যা একসময় পথসভায় রূপ নিত। পরে জনতার অনুরোধে তিনি উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন।
শাহনেওয়াজ বলেন, “রাজনীতির শুরু থেকেই ছাত্রদলের সঙ্গে ছিলাম, এখন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। হাতিয়ার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। আমি এই দ্বীপেই জন্মেছি, আমার বাবা-মা এবং পূর্বপুরুষরাও এখানকারই। এজন্য অনেক আগ থেকেই এই অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করার প্রত্যাশা ছিল। এখন রাজনীতিতে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাই মনে করি সময় এসেছে। আমি দলের মনোনয়ন চাইব।”
তিনি আরও জানান, “বিভিন্ন বাজারে কয়েকজনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়েই দেখা গেল, ব্যাপক জনসমাগম হচ্ছে, যা পথসভায় রূপ নিচ্ছে। এতে আমি নিজেও অভিভূত। আমি কোনো গ্রুপের হয়ে কাজ করতে চাই না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করে যাব।”
এদিকে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে মাঠে রয়েছেন আরও কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী ফজলুল আজিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তানভির উদ্দিন রাজিব।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫