রাশিদুল ইসলাম রাশেদঃ
লালপুরে বৈধ বালুমহালে চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মোল্লা ট্রেডার্স।
আজ দুপুরে উপজেলার লক্ষীপুর বালুর ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীর ধারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোল্লা ট্রেডার্স-এর পক্ষে মেহেফুজ হক সোহাগ লিখিত বক্তব্যে জানান,
লালপুর উপজেলার দিয়ার বাহাদুরপুর মৌজায় তারা সরকার কর্তৃক বৈধভাবে ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় বালুমহালের ইজারা গ্রহণ করেন।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে ইজারা গ্রহণের পর থেকেই তাদের ওপর একটি চক্র চাঁদা দাবি করে আসছে।
এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু ও তার ভাই মেহেদী হাসান।
তারা প্রতিদিন ৫ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করছেন।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শুরু হয় ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র—নিরীহ শ্রমিক ও মাঝিদের মারধর, সাজানো অস্ত্র উদ্ধারের নাটক এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওই চক্র।
বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলা হয়, ঈশ্বরদী থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই অপকর্মে পরোক্ষ সহযোগিতা করে চলেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ফলে তাদের বৈধ ব্যবসা পরিচালনায় চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এখন বৈধভাবে নদীপথে বালু পরিবহন করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
শ্রমিক, মাঝি ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সরকারি রাজস্ব প্রদান করেও তারা কাজ করতে পারছেন না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
সংবাদ সম্মেলনে সোহাগ আরও দাবি করেন—
পিন্টু-মেহেদী চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যারা এই অপকর্মে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছে, তাদেরকে তদন্তের আওতায় আনতে হবে।
একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার মূল রহস্য উন্মোচন করতে হবে।
বৈধ ব্যবসার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
যদি এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে শুধু লালপুর নয়, সারা দেশের কেউ বৈধ বালুমহাল ইজারা নিতে সাহস করবে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সরকার।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদীর বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু জানান, বালুমহালের চাঁদা দাবির সাথে তার এবং তার ছোট ভাইয়ের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি মোল্লা ট্রেডার্স নামের ইজারাদারকেও চিনেন না।
একটি বিশেষ মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে—এটি তারই বহিঃপ্রকাশ।
প্রয়োজনে প্রশাসন ঘটনাটি তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ.স.ম. আব্দুন নূরকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫