মানিক কুমার দাসঃ
বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ ফরিদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়েছে। এউপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সকাল ১১ টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে 'নদী বাঁচাও, প্রকৃতি বাঁচাও, দেশ বাঁচাও' এই দাবীতে মানববন্ধন ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন করা হয়।
-
সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক সজল বাড়ৈ-এর সভাপতিত্বে ও সদস্য কৌশিক অধিকারীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক লিয়াকত হোসেন হিমু, সদস্য কে এম আবদুল্লাহ আবিদ।
উপস্থিত ছিলেন কলেজের শিক্ষক অনুপম নন্দি, মিফতি ইসলাম, শেখ নাঈম, তৃষ্ণা ইসলাম, ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ।
-
নেতৃবৃন্দ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ সম্মেলন-১৯৭২ সালের ৬-১৬ জুন এই সম্মেলনে ৫ জুনকে আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস ঘোষনা করা হয়। পরিবেশ দিবসের লক্ষ থাকে পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানো, পলিথিন বন্ধ, পর্যাপ্ত বনায়ন, কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ কমিয়ে আনা।
-
কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করছি পরিবেশ দিবসের গণন সংখ্যা যত বাড়ছে পরিবেশের ততই বিপর্যয় ঘটছে। বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণের পরিমান বাড়ছে ভয়াবহ মাত্রায়, যা গতবছর ছিল প্রায় ১কোটি ৩৩ লক্ষ টন। যুদ্ধ-যুদ্ধোন্মাদ বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে, পারমানবিক শক্তিধর দেশ সমূহ পারমানবিক শক্তি বৃদ্ধি করেই চলছে। যুদ্ধের নামে দেশ দখল করতে বোমা মেরে শহর, নগর, বন্দর ধ্বংসস্তুপে পরিণত করছে, বৃহৎ বনায়ন কেটে করা হচ্ছে শিল্প কলকারখানা।
-
দুই বা ততোধিক দেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা নদী, যাকে বলা হয় আন্তর্জাতিক নদী। ক্ষমতাধর ও উজানের দেশসমূহ তাদের দেশে বাঁধ তৈরি করে ভাটির দেশের নদীর প্রবাহ বাধার সৃষ্টি করছে।
-
ফলে ভাটি অঞ্চলে দেখা দিয়েছে নদীর পানির সল্পতা। নদী মরে যাচ্ছে। ফলে দখল, দূষণের কবলে পড়ছে নদী।
-
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। একসময় কবিদের গান-কবিতায় ১২শ নদী কথা প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আজ সেই নদীর বুক যেন মরুভূমি। পানির প্রবাহ না থাকায় নদী পরিণত হচ্ছে ভাগাড়ে। অপরিকল্পিত শিল্পায়ন এর ফলে শহরের মধ্যে ছোট নদী খাল বা জলাশয় ধ্বংস হয়ে গেছে। শিল্প নগরী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামের পাশদিয়ে বয়ে চলা নদী সমূহকে এখন আর নদী বলা চলে না। বৃহদায়ক ড্রেন বললেই শোভা পায়। শহর ও শিল্পের বর্জ্য ও আবর্জনা সব নদীতে ফেলা হচ্ছে। টনকে টন ময়লার সাথে পলিথিন নদীতে পড়ে শুধু নদী নয় সমুদ্র পৃষ্ঠ ও দূষিত হচ্ছে। জলজ প্রাণীর ইকো সিস্টেম ধ্বংস হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে প্রজনন ক্ষমতা। ফলে দেশজ প্রায় ১০০ রকমের মাছ বিলুপ্তির পথে।
-
বাংলাদেশের নদী যদি বাঁচানো না যায় তাহলে বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চল সহ বৃহদঅঞ্চলে মরুকরণের সৃষ্টি হবে। ভারত থেকে আসা ৫৪ নদীর মধ্যে ৫১ টিতে একতরফা ভাবে বাঁধ দেয়া হয়েছে। এই একতরফা নদী শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফারাক্কা, গজলডোবা, তিস্তা ব্যারেজ সহ সকল বাঁধ অপসারণে বাধ্য করতে হবে।
আগামী দিনের সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। পরবর্তীতে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালিত হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫