রাশিদুল ইসলাম রাশেদঃ
নাটোরের লালপুরে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাতে কোরবানির জন্য প্রায় ৭৬ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। স্থানীয় হাটে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এসব পশু কেনাবেচা। উপজেলার বিভিন্ন খামারে প্রাকৃতিকভাবে লালন-পালন করে কোরবানির জন্য এসব গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩১৫ কোটি টাকা বলে সময়ের প্রত্যাশাকে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল্লাহ।
-
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১১ হাজার ৬৭৩ টি ষাড়, ৪ হাজার ৭৫৫ টি বলদ, ১ হাজার ৯২২টি গাভীসহ মোট ১৮ হাজার ৩৫০ টি গরু, ৫ হাজার ৫৬০টি মহিষ, ৪৬ হাজার ২টি ছাগল ও ৬ হাজার ২৬৪ টি ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এ বছর উপজেলার ৪১ হাজার ১৩৫টি কোরবানি পশুর চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ৩৫ হাজার ৪১ টি গবাদি পশু দেশের বিভিন্ন জেলা হাটে সরবরাহ করা হবে।
-
শনিবার (৩১ মে) খামারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে গবাদি পশু বিক্রির পুরো প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে খামারের কিছু পশু বিক্রি করা হয়েছে। তবে ভালো দামের আশায় এখনো অনেক পশু বিক্রয়ের অপেক্ষায় আছেন খামারিরা। এ বছর গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় পশু মোটাতাজাকরণে খরচ বেশি হয়েছে। তাই ভালো দাম নিশ্চিত করতে অবৈধ বিদেশি পশু যেন কেউ দেশে আমদানি করতে না পারে সে বিষয়ে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
গোপালপুর পৌর এলাকার খামারি হুমায়ুন কবির নয়ন বলেন, আমার খামারে ৫টি গরু ছিল। তিনটি গরু সাড়ে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। বাকি দুটি গরু বিক্রি করেও ভালো দাম পাবো বলে আশা করছি।
-
উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের খামারি মুর্শিদাবাদ বেগম বলেন, আমার খামারে আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ৮টি ষাড় গরু মোটাতাজা করেছি। হাটে মধ্যস্বতভোগীদের দৌরাত্ম না থাকলে আশা করছি ভালো দাম পাবো।
উপজেলার গোপালপুর গরুর হাটে ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী (৪৩) বলেন, হাটে যথেষ্ট পরিমাণ গরু ও ছাগলের আমদানি হয়েছে। সে তুলনায় ক্রেতা কম। তবে কয়েক দিনের মধ্যে ক্রেতা ও কেনা-বেচা বাড়বে বলে জানান তিনি।
-
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল্লাহ বলেন, খামারিদের প্রাকৃতিক উপায়ে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে। গবাদিপশুর নায্য দাম নিশ্চিতে উপজেলার পশু হাট গুলোতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়া হাটে ভেটেনারি মেডিকেল টিম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। ঈদুল আযহাতে বিক্রির উদ্দেশ্যে এ বছর উপজেলায় প্রায় ৭৬ হাজার গবাদি পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। কোরবানি উপলক্ষে গবাদি পশু কেনাবেচায় প্রায় ৩১৫ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা করেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫