বাদশাহ মিয়াঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সিঙ্গাপুর প্রবাসীর বাড়ীতে ডাকাতির রহস্য উদঘাটন ও ডাকাত গ্রেফতার করে সম্মাননা পেয়েছেন ওসি তদন্ত শীতল চন্দ্র পাল।
.
থানা সূত্রে জানাযায়, গত ১৬ই ডিসেম্বর রাতে উপজেলার গোলাবাড়ীয়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী রইচ উদ্দীন শেখের দোতলা বাড়ীতে, দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। কমপক্ষে ১০/১২ জনের ডাকাতদল নিচতলার পিছনের দিকের জানালার গ্রীল কেটে এবং দ্বিতীয় তলার সামনের দিকের বেলকনির দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। ডাকাতরা বাড়ীর সদস্যদের হাত ও মুখ গামছা দিয়ে বেধে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
.
বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড হওয়ার পর ওসি (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল মামলার তদন্তের দায়িত্ব গ্রহন করেন।
.
শীতল চন্দ্ৰ পাল এর নেতৃত্বে মুকসুদপুর থানার চৌকস টিম ক্লুলেস, এই ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটনে নিরলস ভাবে কাজ করতে থাকেন। তদন্তের ধারাবাহিকতায় ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তকারী কর্মকর্তা শীতল চন্দ্ৰ পাল, উক্ত ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকায় খুলনা শহরের শাহিন আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার মহসিউল ইসলাম বাবু এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত আলমগীর, ডাকাত সজল, ডাকাত কামরুল, ডাকাত জুয়েল এবং ডাকাত সাগরকে গ্রেফতার
করতে সক্ষম হয়।
.
উল্লেখিত ডাকাতদের মধ্যে হোটেল ম্যানেজার মহসিউল ইসলাম বাবু, ডাকাত আলমগীর, ডাকাত সজল নিজেদের দায় স্বীকার করে, প্রবাসীর বাড়ীতে ডাকাতির সুস্পষ্ট বর্ননা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।
.
ক্লুলেস এমন ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি(তদন্ত) শীতল চন্দ্র পালের ভূয়সী প্রসংসা করেন এবং সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করেন।
.
এ বিষয়ে ওসি (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল জানান, সকলের সমন্বিত টিম ওয়ার্ক এবং সিনিয়র স্যারদের নির্দেশনার ফলে এই ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেফতারসহ ডাকাতির লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত আছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫