আসলাম বেপারীঃ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরহরিরামপুর ও ছমির বেপারী ডাঙ্গী গ্রামে প্রায় ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটার এইচবিবি রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স শোভন কম্পিউটার’ অত্যন্ত নিম্নমানের ইট, অপ্রতুল বালু ও মাটি ব্যবহার করে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে।
.
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পে আরজখার ডাঙ্গী থেকে ফকির ডাঙ্গী জামে মসজিদ পর্যন্ত ৫৪০ মিটার এবং পাগলার বাজার থেকে উত্তর দিকে ৪৬০ মিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ পায় উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে শুরু থেকেই নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।
.
অভিযোগকারীরা জানান, রাস্তার নির্মাণে শর্ত অনুযায়ী পর্যাপ্ত বালু ও মাটি ব্যবহার করা হয়নি এবং অত্যন্ত দুর্বল মানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি, রাস্তায় বসানো তিনটি পাইপ কালভার্ট নির্মাণের কয়েক দিনের মধ্যেই ভেঙে যায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এমন নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে সামান্য ঢলের পানিতেই রাস্তাটি ভেঙে যেতে পারে।
.
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘মেসার্স শোভন কম্পিউটার’-এর স্বত্বাধিকারী আঃ রাজ্জাক দাবি করেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের পর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইউএনও সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন এবং পরবর্তীতে ভালো মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।
.
তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা খাতুন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি রাস্তাটি পরিদর্শন করে ঠিকাদারকে নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে ভালো মানের জিনিস ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার অজান্তে ঠিকাদার কী করেছেন, তা তিনি খতিয়ে দেখবেন।
.
অন্যদিকে, গাজীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াকুব আলী অভিযোগ করেন, কার্যাদেশে ইটের স্লোপিংয়ের নিচে ছয় ইঞ্চি বালুর স্তর দেওয়ার কথা থাকলেও দুই ইঞ্চিও দেওয়া হয়নি। মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দ থাকলেও কোনো মাটি ফেলা হয়নি এবং নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি, তিনবার পাইপ কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও তা ভেঙে পড়েছে এবং এখনও পেলাসাইটিংয়ের কাজ বাকি রয়েছে।
.
রাস্তার পাশের বাসিন্দা দীপু খান বলেন, ইউএনও’র নির্দেশনা সত্ত্বেও ঠিকাদার নিজের খেয়াল মতো কাজ করছেন।
.
এলাকাবাসী এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন, যাতে রাস্তাটির গুণগত মান নিশ্চিত করা যায় এবং জনগণের কষ্টের টাকা যেন নষ্ট না হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।