রনি আহমেদ রাজুঃ
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের রাজাপুর পূর্বপাড়ায় সরকারি রাস্তা জায়গা থেকে বেশ কয়েকটি মেহগনি গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে শিমুল ও আফসার মোল্লা নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শিমুল রাজাপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের আক্কাস মিয়ার ছেলে। এবং অপর অভিযুক্ত আফসার মোল্লা রাজাপুর চরপাড়া গ্রামের জয়নাল মোল্লার ছেলে এবং রাজাপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক।
৬ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সরকারি রাস্তার পাশের মেহগনি কাজ কেটে দুইটা নসিমনে তোলা হচ্ছে। গাছের গুড়িগুলো নসিমনে তোলার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান শিমুল নামের এক ব্যক্তি গাছগুলো বিক্রি করেছেন।
পরে শিমুলের পরিবারের লোকজন সেখানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদেরকে ঘটনাস্থলের ছবি এবং ফুটের সংগ্রহে বাধা প্রদান করেন। এবং সাংবাদিকদের ডিভাইস থেকে ছবি এবং ভিডিও ডিলিট করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। স্থানীয় লোকজন জড়ো করে মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন এবং অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন।
ঘটনার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের ছবি ফুটেজ এবং তথ্য সংগ্রহে বাধা দেন এবং তথ্য সংগ্রহের ব্যবহৃত ডিভাইস ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। কথা বলার এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন এবং লাঞ্ছিত করতে উদ্যত হন। সংবাদ প্রচার না করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। ডিভাইস থেকে তথ্য না মুছে ফেললে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করারও হুমকি প্রদান করেন।
জানা যায় হুমকি প্রদানকারী ওই ব্যক্তির নাম আফসার মোল্লা । তিনি রাজাপুর চরপাড়া গ্রামের জয়নাল মোল্লার ছেলে এবং রাজাপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক।
রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শ্যামল মৃধা বলেন, রাজাপুর পূর্বপাড়ায় রাস্তার পাশের গাছ কাটার বিষয়ে জানতে পেরেছি, ওই গাছ যদি সরকারি সম্পত্তি হয় এবং এর সাথে আমার দলের কোন নেতাকর্মী জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার(দায়িত্বপ্রাপ্ত) মহম্মদপুর বনি আমিন মুঠোফোনে জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, অত্র ইউনিয়নের তহসিলদারকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ সরকারি সম্পত্তি তসরুপ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।
আত্র ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত তহসিলদার কামরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, যে জায়গা থেকে গাছ কাটা হয়েছে সেটা আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে সরকারি রাস্তার গাছ। তার পরেও সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে নিশ্চিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজাপুর ক্যাম্প থেকে পুলিশ গিয়ে একটি নসিমন বোঝাই কাঠের গুড়ি জব্দ করেছে বলে জানা যায়।
প্রিন্ট

মধুখালীতে দোয়া মাহফিল ও গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে মতবিনিময় 
রনি আহমেদ রাজু, নিজস্ব প্রতিনিধি 




















