আলিফ হোসেনঃ
রাজশাহীতে প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্যের প্রতিবাদ,অগ্রিম কোর্স ফি বাতিল ও মাসিক ফি নির্ধারণ করা প্রতি ব্যাচে আসন সংখ্যা জাতীয় মডেল অনুসরণ করে নির্ধারণসহ ১১টি দাবি বাস্তবায়নের দাবি করা হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার (১ নভেম্বর) অভিভাবকগণ দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন আয়োজন করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত অভিভাবকগণ জানান, রাজশাহীতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের বসবাস। আমাদের সন্তানদের সুশিক্ষার জন্য স্কুল-কলেজের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় প্রাইভেট পড়াতে হয়। কিন্তু শিক্ষা নগরী খ্যাত রাজশাহী এখন প্রাইভেট ক্লাস-প্রাইভেট কোচিং কেন্দ্রীক হওয়ায় অভিভাবকগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভাইয়া প্রাইভেট কোচিংগুলোতে মাসিক বেতনের পরিবর্তে কোর্স ফি চালু করা হয়েছে। ফলে পড়াশুনা আদায় না করে তারা মুনাফা কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের ধরে রাখে। সব ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি শিক্ষক-ভাইয়াদের সুনজর না থাকায় শিক্ষার মান নেই; পক্ষান্তরে অভিভাবকগণের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয়ের কাঙ্ক্ষিত সুফল আসছে না।
মানববনন্ধন থেকে বৃহত্তর রাজশাহী জেলার কোচিং সেন্টারের সার্বিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরেন অভিভাবকগণ। তারা দাবি তোলেন- অগ্রিম কোর্স ফি বাতিল করে মাসিক বেতন নির্ধারণ করা (যা মাসের শুরুতে ১ হতে ৭ তারিখে পরিশোধ যোগ্য।)। প্রতি ব্যাচে আসন সংখ্যা নির্ধারণ (জাতির মডেল অনুসরণ করে)। বার্ষিক পরীক্ষার পূর্বে ভর্তি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা। প্রতি ব্যাচের সব ছাত্র-ছাত্রীর নিকট হতে ক্লাসে পড়া ধরা এবং আদায় করে নেওয়া। টাকার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া পরিহার করা। কোর্স ফি’র নামে ৩ মাস আগে টাকা নেওয়া মূলত ৯ মাস আগাম টাকা গ্রহণ বোঝায়, সেটি বন্ধ করা। অগ্রিম টাকা নেওয়ায় ষাণ্মাসিক ও বার্ষিক কোর্স সঠিকভাবে সমাপ্ত করে না।
একটি অধ্যায় শেষ না করে টাইমপাস মূলক পরীক্ষা, যেটি অধ্যায় শেষ করে কয়েকটা পরীক্ষা নেওয়া উচিত। ছাত্র-ছাত্রীরা দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলে নানাভাবে বকা দেওয়া হয়। ক্লাসে কারো প্রশ্ন করার সুযোগ নাই। ছাত্র-ছাত্রীদের বসার জন্য যে বেঞ্চ ব্যবহার করা হয় তা এত ঘন যা সবার বসার জন্য উপযোগী নয় বা কষ্টকর। বেঞ্চগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি লাগানো থাকে, সরানো যায় না। পারিবারিক গল্প শোনা, শিক্ষকের গল্প বলে সময় শেষ করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- রাজশাহী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি আহ্বায়ক অ্যাড. এনামুল হক, রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলী, জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, জিটিভির রাজশাহীর রিপোর্টার রাশেদ রিপন, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং পরিচালক মো. মতিউর রহমান, ক্যাব রাজশাহীর সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, বরেন্দ্র ফোরাম রাজশাহীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান, ক্যাব ইউথ গ্রুপের সভাপতি মো. জুলফিকার হায়দার, শিক্ষার্থী অভিভাবক আব্দুল হাকিম, মামুনুর রশিদ, আব্দুল হাকিম, আতিকুর রহমান, ওবায়দুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবক প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,দেবাশী,জুয়েল ও ফাহাদ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর।আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে, একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার ও অভিভাবকদের জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যার একটি অংশ লিটন পরিবার পেয়েছে ও একটি অংশ জুলাই বিপ্লবের আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী সমর্থকদের পিছনে ব্যয় করা হয়েছে।এরা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অর্থ বিনিয়োগ করছে।তারা এদের কোচিং বন্ধের দাবি করেছেন।
প্রিন্ট

মধুখালীতে দোয়া মাহফিল ও গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে মতবিনিময় 
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি 





















