এস. এম সালমান হৃদয়ঃ
বগুড়া জেলা বিএনপি’র সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেছেন, আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে বেশি বেশি করে সংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করতে হবে। অপসংস্কৃতির আড়ালে আমরা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছি। অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ করতে হলে দেশীয় সংস্কৃতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, “বগুড়া সংস্কৃতির দিক থেকে অনেক এগিয়ে। এখান থেকে অনেক গুণী শিল্পী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন। শিল্প, সংস্কৃতি, কৃষি, রাজনীতি ও খেলাধুলাসহ সর্বক্ষেত্রে বগুড়া সবসময়ই এগিয়ে থেকেছে। তবুও গত ১৬ বছর বগুড়া ছিল অবহেলিত ও বঞ্চিত।”
বাদশা আরও বলেন, “আগস্ট বিপ্লবের পর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা এমন এক বাংলাদেশ চাই, যেখানে থাকবে গণতন্ত্র, মানবতা ও সাম্যের চর্চা। এই দেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট শাসক তৈরি হবে না।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “যখন সরকারের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের রাজপথে দেখা যায়নি, তখন সংস্কৃতিক কর্মীরাই প্রথম রাজপথে নেমেছিল। ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে তারা রাজপথে নেমে আন্দোলনকে বেগবান করেছে।”
রেজাউল করিম বাদশা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দীর্ঘ ১৭ বছর নতুন কুঁড়ি অনুষ্ঠানটি বন্ধ ছিল। অথচ নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে গ্রামাঞ্চল থেকে অসংখ্য নতুন শিল্পী উঠে এসেছিল এবং সংস্কৃতি বিকাশের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছিল।”
তিনি বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হিন্দোল একাডেমি ও ভোর হলো আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘সৃজনানন্দ উৎসব’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া থিয়েটারের আহ্বায়ক এড. পলাশ খন্দকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিন সৈকত, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন মন্ডল, সাংবাদিক মোমিন রশিদ শাহিন, হিন্দোল একাডেমির সভাপতি জুলফিকার হোসেন সুইট ও সাধারণ সম্পাদক সোবহানী বাপ্পি।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অলক কুমার পাল। তিন দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে।
প্রিন্ট

বালিয়াকান্দিতে মোবাইলকোট পরিচালনায় দুই ট্রলি চালককে জরিমানা 
এস. এম সালমান হৃদয়, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি 





















