ঢাকা , রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

দিনাজপুর-৬ আসনে ত্রিমুখী লড়াই, বিএনপি, জামায়াত ও এবি পার্টির

মোঃ ফখরুজ্জামান চৌধুরী কৌশিকঃ

 

আসন্ন জাতীয় সংসদ ত্রয়োদশ নির্বাচনে দিনাজপুর-৬ (হাকিমপুর-নবাবগঞ্জ-ঘোড়াঘাট-বিরামপুর) আসনে রাজনৈতিক লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। এই আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে প্রধান দুই শরিক দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মধ্যে। তবে নতুন করে এই লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা।

 

এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন। অন্যদিকে একই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রার্থী হিসেবে মাঠে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মো: আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়াও, এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিচ্ছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় এবং এবি পার্টির অংশগ্রহণে হাকিমপুর-নবাবগঞ্জ-ঘোড়াঘাট-বিরামপুরে ভোটের সমীকরণে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। এই পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নানামুখী আলোচনা ও বিশ্লেষণ।

 

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এই আসনটি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তবে অতীতে এ আসনে জামায়াত ২ বার, বিএনপি ১ বার, আওয়ামী লীগ ৫ বার বিজয়ী হয়েছেন। তবে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামী ও আমার বংলাদেশ (এবি) পার্টির অংশগ্রহণের কারণে ভোট ভাগাভাগি হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিএনপির স্থানীয় নেতারা।

 

তবে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে প্রধান দুই দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপির পক্ষ থেকে চলছে উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণ এবং ইউনিয়নভিত্তিক কর্মী ও মতবিনিময় সভা। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও চলছে গণসংযোগ ও জনসংযোগ। এছাড়াও এবি পার্টির পক্ষ থেকেও স্থানীয়ভাবে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ শুরু হয়েছে। ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক এবং তার নেতাকর্মীরা নতুন এই দলের বার্তা নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। এ নিয়ে গ্রামীণ রাজনীতিতে প্রতিদিনই বাড়ছে সরগরম অবস্থা।

 

বিএনপি নেতা ডা: জাহিদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় রাজনীতির পাশাপাশি হাকিমপুর-নবাবগঞ্জ-ঘোড়াঘাট-বিরামপুর এলাকায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি এলাকার মানুষের সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি করেছেন।

 

অপরদিকে, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলামও স্থানীয়ভাবে ইসলামি সংগঠন ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করা একজন পরিচিত মুখ।

 

নবীন দল এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সানি আব্দুল হক ও তাঁর অবস্থান জানান দিতে মাঠে কাজ শুরু করেছেন।

 

স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এই ত্রিমুখী লড়াইয়ে দিনাজপুর-৬ আসনের নির্বাচন এবার হবে অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ ও জনমতের আগ্রহ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম কে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে বিএনপি’র বিজয় হবে

error: Content is protected !!

দিনাজপুর-৬ আসনে ত্রিমুখী লড়াই, বিএনপি, জামায়াত ও এবি পার্টির

আপডেট টাইম : ০৭:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
মোঃ ফখরুজ্জামান চৌধুরী কৌশিক, হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :

মোঃ ফখরুজ্জামান চৌধুরী কৌশিকঃ

 

আসন্ন জাতীয় সংসদ ত্রয়োদশ নির্বাচনে দিনাজপুর-৬ (হাকিমপুর-নবাবগঞ্জ-ঘোড়াঘাট-বিরামপুর) আসনে রাজনৈতিক লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। এই আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে প্রধান দুই শরিক দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মধ্যে। তবে নতুন করে এই লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা।

 

এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন। অন্যদিকে একই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রার্থী হিসেবে মাঠে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মো: আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়াও, এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিচ্ছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় এবং এবি পার্টির অংশগ্রহণে হাকিমপুর-নবাবগঞ্জ-ঘোড়াঘাট-বিরামপুরে ভোটের সমীকরণে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। এই পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নানামুখী আলোচনা ও বিশ্লেষণ।

 

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এই আসনটি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তবে অতীতে এ আসনে জামায়াত ২ বার, বিএনপি ১ বার, আওয়ামী লীগ ৫ বার বিজয়ী হয়েছেন। তবে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামী ও আমার বংলাদেশ (এবি) পার্টির অংশগ্রহণের কারণে ভোট ভাগাভাগি হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিএনপির স্থানীয় নেতারা।

 

তবে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে প্রধান দুই দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপির পক্ষ থেকে চলছে উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণ এবং ইউনিয়নভিত্তিক কর্মী ও মতবিনিময় সভা। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও চলছে গণসংযোগ ও জনসংযোগ। এছাড়াও এবি পার্টির পক্ষ থেকেও স্থানীয়ভাবে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ শুরু হয়েছে। ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক এবং তার নেতাকর্মীরা নতুন এই দলের বার্তা নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। এ নিয়ে গ্রামীণ রাজনীতিতে প্রতিদিনই বাড়ছে সরগরম অবস্থা।

 

বিএনপি নেতা ডা: জাহিদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় রাজনীতির পাশাপাশি হাকিমপুর-নবাবগঞ্জ-ঘোড়াঘাট-বিরামপুর এলাকায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি এলাকার মানুষের সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি করেছেন।

 

অপরদিকে, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলামও স্থানীয়ভাবে ইসলামি সংগঠন ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করা একজন পরিচিত মুখ।

 

নবীন দল এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সানি আব্দুল হক ও তাঁর অবস্থান জানান দিতে মাঠে কাজ শুরু করেছেন।

 

স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এই ত্রিমুখী লড়াইয়ে দিনাজপুর-৬ আসনের নির্বাচন এবার হবে অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ ও জনমতের আগ্রহ।


প্রিন্ট