ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

আলফাডাঙ্গায় মধুমতি নদী ভাঙনরোধে শুরু হয়েছে জিও ব্যাগ ডাম্পিং, চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল

মোঃ ইকবাল হোসেনঃ

 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নেচর খোলাবাড়িয়া গ্রামে কয়েক সপ্তাহ জুড়ে মধুমতি নদী ভাঙন শুরু হয়। গত ২০ অক্টোবর সোমবার ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন কথা দিয়েছিলেন তিন দিনের মধ্যে ভাঙন রোধেজিওব্যাগ ফেলা হবে। গত শনিবার থেকে ভাঙনকবলিত স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। তবে যে পরিমাণ জিও ফেলা হচ্ছে সেটা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।এলাকাবাসীর দাবি আরও অনন্ত ছয়টি প্যাকেজ সংযুক্ত করার জন্য।

 

এলাকাবসীর দাবি নিয়ে কথা হয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেনের। তিনি মঙ্গলবার বিকেলে জানান, নদী ভাঙন হয়েছে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে। ওই স্থানেএকটি দাখিল মাদ্রাসা  রয়েছে সেই প্রতিষ্ঠান রক্ষা করার জন্য জরুরী ভিত্তিক দুটি প্যাকেজ অর্থাৎ প্রায় সাত ১৬ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হবে নদীতে। অবশিষ্ট অংশের জন্য আমরা বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছি, সেটা অচিরেই চালু হবে।

ইতোমধ্যে দুইটি মসজিদ, প্রায় ৫০ একর জমি ও ৬০ থেকে ৭০টি বসত ঘর সহ অনেক স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আল হেরা দাখিল মাদ্রাসা সুপার মো.আব্দুর রব জানান, আমাদের মাদ্রাসা থেকে মাত্র ৫০ গজ দুরে রয়েছে।

 

বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ হওয়ার পর জানতে পারলাম তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হবে। আলহামদুল্লিলাহ জিওব্যাগ ফেলাহচ্ছে। মাত্র দুটিপ্যাকেজ ফেলা হচ্ছে। প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন আরও অনন্ত ছয়টি প্যাকেজ প্রয়োজন।

দিগনগর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, দিগনগর ও চরখোলবাড়ীয়া নদী ভাঙ্গন রোধে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি রক্ষা পাবে। তবে সরকার যে পরিমাণ জিও ব্যাগ বরাদ্দ করেছে চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এখানে যে দুটিপ্যাকেজে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে সেখানে মাত্র ৩৫০ ফুট স্থানে ফেলতে পারবে।

 

অবশিষ্ট স্থানে অনন্ত ৬টি প্যাকেজ জরুরী ভিত্তিক দরকার। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
আমাদের মূল দাবি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হোক। নদী ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হচ্ছে। আমরা যানতে পারলাম মাত্র দুটি প্যাকেজ অর্থাৎ প্রায় ১৬ হাজার বালু ভরা বস্ত (জিওব্যাগ) ফেলা হবে। আমাদের এখানে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে নদী ভেঙেছে। সেখানে প্যাকেজ প্রয়োজন ১০টি। আশাকরি এই অবহেলিত স্থানের কথা চিন্তা করে সরকার তার যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের এলাকার সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জনসাধারণের ঘরবাড়ি ফসলী জমি রক্ষা পাবে।

 

মো.,তারিখ: ২৮/১০/২৫, মোবাইল: ০১৭২২২৪৭৩৪৫


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শার্শায় সমাবেশে মফিকুল হাসান তৃপ্তিঃ -ক্ষমতায় এলে শিক্ষিত যুবকদের চাকরি ও বেকারভাতা দেবে বিএনপি

error: Content is protected !!

আলফাডাঙ্গায় মধুমতি নদী ভাঙনরোধে শুরু হয়েছে জিও ব্যাগ ডাম্পিং, চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল

আপডেট টাইম : ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
মোঃ ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

মোঃ ইকবাল হোসেনঃ

 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নেচর খোলাবাড়িয়া গ্রামে কয়েক সপ্তাহ জুড়ে মধুমতি নদী ভাঙন শুরু হয়। গত ২০ অক্টোবর সোমবার ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন কথা দিয়েছিলেন তিন দিনের মধ্যে ভাঙন রোধেজিওব্যাগ ফেলা হবে। গত শনিবার থেকে ভাঙনকবলিত স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। তবে যে পরিমাণ জিও ফেলা হচ্ছে সেটা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।এলাকাবাসীর দাবি আরও অনন্ত ছয়টি প্যাকেজ সংযুক্ত করার জন্য।

 

এলাকাবসীর দাবি নিয়ে কথা হয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেনের। তিনি মঙ্গলবার বিকেলে জানান, নদী ভাঙন হয়েছে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে। ওই স্থানেএকটি দাখিল মাদ্রাসা  রয়েছে সেই প্রতিষ্ঠান রক্ষা করার জন্য জরুরী ভিত্তিক দুটি প্যাকেজ অর্থাৎ প্রায় সাত ১৬ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হবে নদীতে। অবশিষ্ট অংশের জন্য আমরা বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছি, সেটা অচিরেই চালু হবে।

ইতোমধ্যে দুইটি মসজিদ, প্রায় ৫০ একর জমি ও ৬০ থেকে ৭০টি বসত ঘর সহ অনেক স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আল হেরা দাখিল মাদ্রাসা সুপার মো.আব্দুর রব জানান, আমাদের মাদ্রাসা থেকে মাত্র ৫০ গজ দুরে রয়েছে।

 

বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ হওয়ার পর জানতে পারলাম তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হবে। আলহামদুল্লিলাহ জিওব্যাগ ফেলাহচ্ছে। মাত্র দুটিপ্যাকেজ ফেলা হচ্ছে। প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন আরও অনন্ত ছয়টি প্যাকেজ প্রয়োজন।

দিগনগর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, দিগনগর ও চরখোলবাড়ীয়া নদী ভাঙ্গন রোধে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি রক্ষা পাবে। তবে সরকার যে পরিমাণ জিও ব্যাগ বরাদ্দ করেছে চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এখানে যে দুটিপ্যাকেজে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে সেখানে মাত্র ৩৫০ ফুট স্থানে ফেলতে পারবে।

 

অবশিষ্ট স্থানে অনন্ত ৬টি প্যাকেজ জরুরী ভিত্তিক দরকার। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
আমাদের মূল দাবি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হোক। নদী ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হচ্ছে। আমরা যানতে পারলাম মাত্র দুটি প্যাকেজ অর্থাৎ প্রায় ১৬ হাজার বালু ভরা বস্ত (জিওব্যাগ) ফেলা হবে। আমাদের এখানে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে নদী ভেঙেছে। সেখানে প্যাকেজ প্রয়োজন ১০টি। আশাকরি এই অবহেলিত স্থানের কথা চিন্তা করে সরকার তার যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের এলাকার সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জনসাধারণের ঘরবাড়ি ফসলী জমি রক্ষা পাবে।

 

মো.,তারিখ: ২৮/১০/২৫, মোবাইল: ০১৭২২২৪৭৩৪৫


প্রিন্ট