ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

মুকসুদপুরে আদালতের রায় অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা 

বাদশাহ মিয়াঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আদালতের রায় অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম বাজারের পাশে ৯৫ নং মহারাজপুর মৌজার ২০.২৫ শতাংশ জমির ক্রয় সূত্রে জুয়েল শেখ, মনির শেখ এবং ওয়াছেল মোল্লা মালিক থাকা সত্বেও পূর্ব মহারাজপুর গ্রামের ডাঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে মেয়েরা বার বার দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, এই জমি নিয়ে ইতিপূর্বে, বিজ্ঞ আদালতে বনগ্রামের খন্দকার মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ১২৮/৯৬ ইং। মামলায় ডাঃ হাবিবুর রহমান ৪ নং বিবাদী ছিলেন।
উক্ত মামলায় ৪নং বিবাদী ডাঃ হাবিবুর রহমান, ১০/০১/১৯৮৩ইং তারিখে ৪৩৩ নং আমমোক্তার দলিল মূলে মনিন্দ্রনাথ ভৌমিক থেকে ২১ শতাংশ জমি দাবি করেন। কিন্তু মনিন্দ্রনাথ ভৌমিক ১৯৮১ ইং সালে মৃত্যুবরণ করায় হাবিবুর রহমানের কোন সত্ব থাকে না।
পরবর্তীতে দেওয়ানী আপিল ৭০/২০০৫ নং মামলায় তার কোন সম্পত্তি অর্জিত হয় নাই। এরপরে মহামান্য হাইকোর্ট তার আমমোক্তার দলিল মূলে কোন সম্পত্তি প্রদান করেন নাই।
বিজ্ঞ আদালতের এ রায়ের দীর্ঘদিন পরে এখন আবার হাবিবুর রহমানের ওয়ারিশ তার ছেলে মেয়েরা এই জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও দলিল মূলে জানা যায়, উক্ত সম্পত্তির এস এ খতিয়ান ১৯৭৮। এস এ রেকর্ড অনুসারে মালিক গৌর চন্দ্র ভৌমিক গং তাদের ওয়ারিশ ক্রমানুসারে সঞ্জয় ভৌমিক ও শ্রীবাস ভৌমিক একমাত্র মালিক থাকিয়া বর্তমানে বিআরএস ১/১ খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারের নামে থাকে। পরবর্তীতে ভিপি (খ) তফসিল থেকে সঞ্জয় ও শ্রীবাস নামজারি করে মালিকানা লাভ করে।
বর্তমান নামজারি খতিয়ান ৩৩২০ যাহা ১২/১১/২০২৪ তারিখে ৪৯৮৬ নং কেস মূলে ২০.২৫ শতাংশ জমি অবমুক্ত করে মালিকানা লাভ করেন। এরপর ২৪/০৩/২০২৫ তারিখে মুকসুদপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের রেজিস্ট্রারকৃত ১৮৩৯ নং দলিল মূলে মনির শেখ ও ওয়াছেল মোল্লা বরাবর ১০.১৩ শতাংশ জমি হস্তান্তর করেন এবং ২৫/০৮/২০২৫ তারিখে মুকসুদপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের রেজিস্ট্রারকৃত ৫৩৩৩ নং কবলা দলিল মূলে জুয়েল শেখ বরাবর ১০.১২ শতাংশ জমি হস্তান্তর করেন।
ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে তাদের ২০.২৫ শতাংশ দখলীয় জমিতে তাদের ঘর মেরামত করতে গেলে, বিভিন্ন ভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ডাঃ হাবিবুর রহমানের ওয়ারিশগন। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শার্শায় সমাবেশে মফিকুল হাসান তৃপ্তিঃ -ক্ষমতায় এলে শিক্ষিত যুবকদের চাকরি ও বেকারভাতা দেবে বিএনপি

error: Content is protected !!

মুকসুদপুরে আদালতের রায় অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা 

আপডেট টাইম : ০৩:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
বাদশাহ মিয়া, মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি :
বাদশাহ মিয়াঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আদালতের রায় অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম বাজারের পাশে ৯৫ নং মহারাজপুর মৌজার ২০.২৫ শতাংশ জমির ক্রয় সূত্রে জুয়েল শেখ, মনির শেখ এবং ওয়াছেল মোল্লা মালিক থাকা সত্বেও পূর্ব মহারাজপুর গ্রামের ডাঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে মেয়েরা বার বার দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, এই জমি নিয়ে ইতিপূর্বে, বিজ্ঞ আদালতে বনগ্রামের খন্দকার মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ১২৮/৯৬ ইং। মামলায় ডাঃ হাবিবুর রহমান ৪ নং বিবাদী ছিলেন।
উক্ত মামলায় ৪নং বিবাদী ডাঃ হাবিবুর রহমান, ১০/০১/১৯৮৩ইং তারিখে ৪৩৩ নং আমমোক্তার দলিল মূলে মনিন্দ্রনাথ ভৌমিক থেকে ২১ শতাংশ জমি দাবি করেন। কিন্তু মনিন্দ্রনাথ ভৌমিক ১৯৮১ ইং সালে মৃত্যুবরণ করায় হাবিবুর রহমানের কোন সত্ব থাকে না।
পরবর্তীতে দেওয়ানী আপিল ৭০/২০০৫ নং মামলায় তার কোন সম্পত্তি অর্জিত হয় নাই। এরপরে মহামান্য হাইকোর্ট তার আমমোক্তার দলিল মূলে কোন সম্পত্তি প্রদান করেন নাই।
বিজ্ঞ আদালতের এ রায়ের দীর্ঘদিন পরে এখন আবার হাবিবুর রহমানের ওয়ারিশ তার ছেলে মেয়েরা এই জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও দলিল মূলে জানা যায়, উক্ত সম্পত্তির এস এ খতিয়ান ১৯৭৮। এস এ রেকর্ড অনুসারে মালিক গৌর চন্দ্র ভৌমিক গং তাদের ওয়ারিশ ক্রমানুসারে সঞ্জয় ভৌমিক ও শ্রীবাস ভৌমিক একমাত্র মালিক থাকিয়া বর্তমানে বিআরএস ১/১ খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারের নামে থাকে। পরবর্তীতে ভিপি (খ) তফসিল থেকে সঞ্জয় ও শ্রীবাস নামজারি করে মালিকানা লাভ করে।
বর্তমান নামজারি খতিয়ান ৩৩২০ যাহা ১২/১১/২০২৪ তারিখে ৪৯৮৬ নং কেস মূলে ২০.২৫ শতাংশ জমি অবমুক্ত করে মালিকানা লাভ করেন। এরপর ২৪/০৩/২০২৫ তারিখে মুকসুদপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের রেজিস্ট্রারকৃত ১৮৩৯ নং দলিল মূলে মনির শেখ ও ওয়াছেল মোল্লা বরাবর ১০.১৩ শতাংশ জমি হস্তান্তর করেন এবং ২৫/০৮/২০২৫ তারিখে মুকসুদপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের রেজিস্ট্রারকৃত ৫৩৩৩ নং কবলা দলিল মূলে জুয়েল শেখ বরাবর ১০.১২ শতাংশ জমি হস্তান্তর করেন।
ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে তাদের ২০.২৫ শতাংশ দখলীয় জমিতে তাদের ঘর মেরামত করতে গেলে, বিভিন্ন ভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ডাঃ হাবিবুর রহমানের ওয়ারিশগন। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রিন্ট