মোঃ ইকবাল হোসেনঃ
সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন তার ভাসুর ইশারত হোসেন। সে সংবাদ সম্মেলন মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে পালটা সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী আঞ্জুয়ারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৯ নংওয়ার্ডে আঞ্জুয়ারা আপন চাচা বাকিয়ার রহমানের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আঞ্জুয়ারা আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৯ নংওয়ার্ডের মিঠাপুর চর পাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী জামির হোসেনের স্ত্রী।
আমার আপন ভাসুর ইশারত মোল্যা গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে মনগড়া ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে। যাহা ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্রিকা, ইলেকট্রিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হয়েছে।
আমার স্বামী জামির হোসেন দীর্ঘদিন সৌদি আরবে অবস্থান করায় আমার ভাসুর সহপরিবারের লোকজন আমার বিরুদ্ধে সবসময় মিথ্যা বানোয়াট কথা বলে। আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে প্রতিনিয়ত।
ইতিপূর্বে আমাকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে আমার ওপর একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে। এসব ঘটনায় আমি আলফাডাঙ্গা থানায়একাধিকবার লিখিত অভিযোগ ও মামলা করেছি। এতে আমার ভাসুর ইশারত আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার নেতৃত্বে আমার ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালায়।
সংবাদ সম্মেলনে সে উল্লেখ্য করেছে আমার নৈতিকতা ও চরিত্র নিয়ে। আমার বিবাহর পূর্ব থেকে ইশারত আমার প্রতি কুদৃষ্টি দিতো। বিয়ের পরও আমার ভাসুর নানান ভাবে আমার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করে। আমাকে ধর্ষণ চেষ্টা করে; এ ঘটনায় আলফাডাঙ্গা থানা ও ফরিদপুর আদালতে মামলা করেছি।
বর্তমান ফরিদপুর আদালতে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে। আদালত থেকে ফরিদপুর জেলা পুলিশের পিবিআই (পুলিশব্যুরো অবইনভেস্টিগেন) বিভাগকে তদন্ত করার দায়িত্ব প্রদান করেছেন। এছাড়াও পৌরসভার সাবেক দুই মেয়র ও গ্রামের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত থেকে একাধিকবার সালিশ মিমাংসা করেছে। সালিশের রায় তাদের পক্ষে না থাকায় সালিশ মেনে নেয়নি। ইশারত বলে আমি কোনো সালিশ মানিনা।
আমার স্বামী জামিল হোসেন গত ৭ থেকে ৮ বছর বাড়ি ছেড়ে সৌদি আরব প্রবাসে রয়েছে। আমার ভাসুর ইশারত সহ তার ভাইয়েরা প্রতিনিয়ত জীবন নাশের হুমকি প্রদান করেছে। এ জন্য ভয়ে সে বাড়িতে আসেনা। আমার স্বামীর সাথে কথা বললে সত্যটা জানতে পারবেন। আমি সবসময় আমার ছোট বাচ্চাকে নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকি। আমার শশুর বাড়ির লোকজন আমাকে কোনো সহযোগীতা করেনা। বরং আমাকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে আমার সাথে অশ্লীল ভাষায় খারাপ ব্যবহার করে; আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। আমি একজন নারী বিধায় মুখ বুজে সহ্য করে স্বামীর ভিটায় এক খানা টিনের ঘর তুলে জীবন যাপন করছি।
গত কিছুদিন খুব কৌশলে একটি ছেলেকে টাকা দিয়ে আমাকে ব্লাকমেইল করার চেষ্টা করে। ছেলেটি পরবর্তীতে স্বীকার করেছে ইশারত তাকে টাকা দিয়ে এমন ন্যক্কারজনক কাজ করিয়েছে। এবং সেই মিথ্যা বানানো অডিও আমার এলাকার বিভিন্ন লোকজন ও সাংবাদিকের মাঝে বিতরণ করেছে আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য।
এমনকি সংবাদ সম্মেলনের দিনে আমার সৎভাগিনা ইয়াসিন মোল্যা আমার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা কথা বলেছে। ইয়াছিন ছেলে হিসেবে কতটা খারাপ আপনারা এলাকায় খবর নিলে যানতে পারবেন। ইশারত মোল্যার ইন্দনে ইয়াছিন সেদিন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও জঘণ্য কথা বলেছে। ইতিপূর্বে ইয়াছিন আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় গরুর ব্যবসার কথা বলে সর্বমোট ৭ ( সাতলাখ) টাকা নিয়েছে। ধারের টাকা চাওয়াতে সে আমার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছে। আশাকরি আমার বিরুদ্ধে আমার ভাসুর ইশারত ও সৎভাগিনা ইয়াছিন মোল্যার মনগড়া ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আঞ্জুয়ারার পিতা মোকসেদ মোল্যা, আপন চাচা বাকিয়ার রহমান মোল্যা, আব্দুল হক, আলফাডাঙ্গা পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মনির, স্থানীয় বাসিন্দা নূরচাঁদ মিয়া ও গফফার মোল্য ওরফে বাগান মিয়া।
প্রিন্ট

মধুখালীতে দোয়া মাহফিল ও গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে মতবিনিময় 
মোঃ ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি 





















